আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন মহিলা ও শিশু-সহ কয়েক জন বাঙালি। বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা ও আক্রমণের জেরে আরও অনেক বাংলাদেশের সংখ্যালঘু মানুষ ভারতে পালিয়ে আসতে পারেন বলে সতর্ক বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, দক্ষিণ গারো হিল সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা গত রাতে তিনটি পরিবারের ১০ জন-সহ মোট ১৩ জনকে আটক করেন। ধৃতরা জানান, বাংলাদেশের গ্রামে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তারা পালিয়ে এসেছেন। ১২ জনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা মিলেছে। ছিল দু’টি মোবাইল ফোন। ধৃতদের পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গত বছর ভারত সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দুদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও, তা আইন না হওয়ায় সকলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা জানিয়েছেন, তারা আসাম হয়ে কোচবিহারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেখানে তাদের আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিতেন। বিএসএফ ও পুলিশ প্রথমে ধৃতদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর (পুশ ব্যাক) চেষ্টা করে।
কিন্তু ধৃতরা জানান, গ্রাম ছেড়ে পালানোর কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। তাই সেখানে ফিরলেই তাদের আক্রমণ করা হবে। তার চেয়ে ভারতে পুলিশের হেফাজতে থাকা ভাল। বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও ঢাকায় হামলার জেরে সীমান্তে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। ধুবুরি, করিমগঞ্জ-সহ সব সীমান্ত চৌকিকে সতর্ক করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, ধুবুরি, গোয়ালপাড়া, চিরাং, কোকরাঝাড়, বাক্সা, বরপেটা, নলবাড়ি, দরং, কামরূপ, নগাঁও জেলায় অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে।
এ দিকে, বাংলাদেশের জঙ্গি হানা ও হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আসাম আন্দোলনের অন্যতম মাথা মহন্ত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যা অবস্থা তাতে সে দেশ ছেড়ে হিন্দুরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবেনই। সে ক্ষেত্রে বরাবরই তাদের সব চেয়ে সুবিধা আসামে ঢোকা। ভারতের কেন্দ্র সরকার এই অনুপ্রবেশকারীদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিলেও, কোনও আইন বানায়নি। বিজ্ঞপ্তির কথা বাংলাদেশিরাও জানেন। তাই তারা আসামে ঢোকার চেষ্টা করবেন। এতে রাজ্যের উপরে চাপ বাড়তেই থাকবে।’
৫ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস