আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৌশল বদলাচ্ছে আইএস। অশিক্ষা আর দারিদ্রকে হাতিয়ার করে মগজ ধোলাইয়ের দিন শেষ। অপেক্ষাকৃত ধনী ও শিক্ষিত পরিবারের যুবকদেরই টার্গেট করছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করে চলছে মগজ ধোলাই। আইএসের নতুন কৌশল চিন্তা বাড়াচ্ছে গোয়েন্দাদের।
লস্কর জঙ্গিরা মোটা টাকা দেবে। এই আশ্বাসেই ভারতের মুম্বাই হামলার আত্মঘাতী বাহিনীতে নাম লিখিয়ে ছিল আমির আজমল কাসাব। এতদিন এটাই ছিল ট্রেন্ড। কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে দিল আইএস। দুনিয়া কাঁপানো জঙ্গিগোষ্ঠীর টার্গেট শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের অল্প বয়সী ছেলেরা।
ইউরোপ আমেরিকা থেকে প্রতিষ্ঠিত মেধাবি যুবকরা যোগ দিচ্ছে আইএসে। তার উদাহরণ জেহাদি জন, সিদ্ধার্থের মতো জঙ্গিরা। এই উপমহাদেশেও শুরু হয়েছে সেই ট্রেন্ড। ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে প্রথম আইএসে যোগ দিতে ভারত ছাড়ে ৪ যুবক। এরা সকলেই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান।
গত ১ বছরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কমপক্ষে ২০জন যুবককে আইএস অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এদেরও অধিকাংশই মেধাবী ও প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান। আইএস অভিযোগে ভারত থেকে গ্রেফতার আশিক আহমেদও একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র। একই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও। গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিরা প্রত্যেকেই ধনী পরিবারের সন্তান।
নিব্রাস ইসলাম নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। মীর সাবিহ মুবাশ্বের স্কলাসটিকার ছাত্র। গত মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিল তারা। রোহান ইমতিয়াজ স্কলাসটিকার সাবেক ছাত্র। বাবা আওয়ামী লীগের মাঝারি নেতা। শুধু এরা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ব্লগার খুনের ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে তারাও দেশের প্রথম সারির বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। পরিবর্তিত এই ট্রেন্ড ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছেও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
দিনকয়েক আগে হায়দরাবাদে আইএসের যে মডিউলের সন্ধান পেয়েছে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সন্থা NIA, সেখানেও মূলহোতা ইলিয়াস ও ইব্রাহিম পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। শিক্ষিত ও ধনী যুবকদের মগজ ধোলাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে অন লাইন প্ল্যাটফর্ম, এমনই মত গোয়েন্দাদের। তাদের দাবি, অ্যাডভেঞ্চার ও ক্ষমতার মোহ দেখিয়ে দলে টানা হচ্ছে এই যুবকদের। -জিনিউজ
৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস