আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানি থেকে আইএস-এ যোগ দিতে সিরিয়া এবং ইরাকে যাচ্ছে মেয়েরা৷ দেখা গেছে, এ পর্যন্ত যাঁরা গেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকের বয়সই ২৫ বা তার কম৷ তাদের অভিনব পন্থায় আকৃষ্ট করছে আইএস সমর্থকরা৷
পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত জার্মানি থেকে মোট সাড়ে ছয়'শ পুরুষ ইসলামিক স্টেট বা আাইএস-এ যোগ দিতে সিরিয়া বা ইরাকে গিয়েছেন৷ ইসলামি জঙ্গি সংগঠনটির টানে মেয়ে অবশ্য সেই তুলনায় অনেক কম গিয়েছেন৷ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জার্মানি থেকে একশ জনের মতো নারী সিরিয়া বা ইরাকে গিয়েছেন৷
জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে দেশ ছাড়া মেয়েদের শতকরা ৪০ ভাগের বয়সই ২৫ বছর বা তারও কম৷ জার্মানির অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক কার্যালয়ের উগ্রবাদ বিশেষজ্ঞ ফ্লোরিয়ান আন্দ্রেস জানান, আইএস সমর্থকরা সুকৌশলে জার্মানিতে বসবাসরত মেয়েদের আকৃষ্ট করে৷ তারা মেয়েদের সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখায়৷
সুন্দর পারিবারিক জীবনের স্বপ্ন৷ জার্মানিতে পরিবারের বন্ধন বেশি শক্ত নয় বলে অনেকের মনে এক ধরণের হতাশা কাজ করে৷ আইএস সমর্থকরা তারই সুযোগ নেয়৷
ফ্লোরিয়ান আন্দ্রেস জানান, আইএস-এর হয়ে যারা লোক, বিশেষ করে নারী সংগ্রহের কাজ করছে, তারা সাধারণত ছোট কোনো সংস্থা বা গোষ্ঠীর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ খুব বড় বা সুপরিচিত পরিসরে তারা খুব একটা যান না৷
একসময় সালাফিস্টদের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন অনেক নারীই এখন আইএস-এর হয়ে কাজ করছে৷ তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব সক্রিয়৷ তাদের সক্রিয়তার মূল উদ্দেশ্য আইএস-এর জন্য যোদ্ধা বা আইএন যোদ্ধাদের জন্য নারী সংগ্রহ করা৷
জার্মানি থেকে ইরাকে গিয়ে এক নারী নিয়মিত ব্লগ লিখছেন৷ ২০১৩ সালে জার্মানি ছাড়েন তিনি৷ ইরাকে থেকেই তিনি এখন ব্লগ লিখছেন ‘মুহাজিরা' নামে৷ মুহাজিরা শব্দের অর্থ অভিবাসী বা শরণার্থী৷
নিজের ব্লগে তিনি ইরাকে কেমন সময় কাটছে তা তো লিখে জানাচ্ছেনই, সেই সাথে অন্যদের প্রতি রাখছেন ইরাকে চলে যাওয়ার আহ্বান৷ যে কোনো বিষয়ে পরামর্শের প্রয়োজন হলে যে কেউ মুহাজিরার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন৷
মুজাহিরাই তাদের বলে দেন কখন, কোথায়, কী করতে হবে৷ মুজাহিরা নারীদের সবসময় খোলাখুলিই বলেন, ‘‘আমি আইএস-এর হয়ে নারী সংগ্রহের চেষ্টা করি, কেননা, এখানে অনেক অবিবাহিত মুজাহিদিন আছে৷-ডয়চে ভেলে
৯ জুলাই,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস