আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একজন জঙ্গি ৭ বছরের বেশি বাঁচে না। বুরহানের ৬ বছর হয়ে গিয়েছে। ওর মৃত্যুর সময় হয়ে গিয়েছে। আমি ওর মৃতদেহের অপেক্ষায় আছি। এ বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে একটি ইংরাজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছিলেন কাশ্মীরে নিহত জঙ্গি বুরহানের বাবা মুজাফফর ওয়ানি।
তার অপেক্ষা শেষ হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বুরহানের মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীরের জনতার কাছে এই নিহত জঙ্গি ‘শহিদ’ হয়ে উঠেছে। অনেক বাবা-মা সন্তানের নাম রাখছেন বুরহান। এতে গর্বিত বুরহানের বাবা মুজফফর।
২০১০-এর অক্টোবরে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয় বুরহান। তারপর থেকে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। এর জন্য অবশ্য লুরগাম অঞ্চলের একটি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজফফরের কোনও শোক নেই। তিনি বলছেন, বুরহান জঙ্গি হয়ে ওঠার পর থেকেই পুলিশ ও সেনাবাহিনী সবসময় তার বাড়ির উপর নজর রাখত। একদিন সন্ধ্যায় তিনি কাবাব কিনে বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ করার সময় দেখতে পান, পুলিশ চারদিক ঘিরে ফেলেছে। পুলিশের সন্দেহ ছিল, বুরহান বাড়ি আসবে বলেই কাবাব কিনেছেন তার বাবা। কিন্তু বুরহান আসেনি।
শনিবার বুরহানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাকে শেষবার দেখতে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এসেছিলেন। ছেলের প্রতি এত মানুষের ভালবাসা দেখে গর্বিত মুজফফর। তাঁর দাবি, জঙ্গিরা ঠিক পথে চলছে বলেই এত মানুষ তাদের সমর্থন করছেন। -এবিপি
১১ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস