আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মা নিজের মেয়েকে চিনতেন বুদ্ধিমতী‚ প্রাণচঞ্চল হিসেবে। মায়ের সেই চেনা মেয়েটি হঠাৎ পাল্টে গেল। মা দেখলেন হোয়াটস অ্যাপে মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে বোরখা পরে।
মেয়ের এমন ঘটনায় বাবা-মা দুজনেই চলে গেছেন দুঃস্বপ্নের ঘোরে। তাদের হবু-চিকিৎসক মেয়ে গর্ভবতী অবস্থায় যোগ দিয়েছেন আইএসে।
ঘটনা ভারতের কেরলের। জানা গেছে, শুধু কেরল থেকেই ২১ জন তরুণ-তরুণী নিখোঁজ। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে তাদের কোনো সন্ধান নেই।
প্রশাসনের সন্দেহ‚ তারা সবাই যোগ দিয়েছেন ইসলামিক স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীতে।
তাদের মধ্যে একজন হলেন এই তরুণী। তার বাবা- মা জানিয়েছেন‚ ছোট থেকেই মেয়ে খুব বুদ্ধিমতী ছিল। ইদানীং হোস্টেলে থেকে ডেন্টিস্ট হওয়ার জন্য পড়াশোনা করছিল।
তার বড়ভাই এনএসজির কম্যান্ডো। ছেলের পরে এবার মেয়েকেও প্রতিষ্ঠিত দেখব বলে আশায় বুক বেধেছিলেন বাবা-মা।
কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে আচমকাই পাল্টে গেল তাদের ধর্মপ্রাণ মেয়ে। বাড়িতে না জানিয়ে তিনি বিয়ে করেন এক খ্রিস্টান তরুণকে।
পরে দুজনে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। প্রথমে আপত্তি থাকলেও পরে মেয়ের ইচ্ছেকে মেনে নেয়া হয় বাড়িতে।
মেয়ে শর্ত দেন‚ তিনি বাড়িতে গেলে একমাত্র বোরখা পরেই যাবেন। মেনে নেয়া হয় সেটাও। এরপর বোরখা পরেই বাবা-মায়ের কাছে আসেন মেয়ে। কাটিয়ে যান ক'দিন ।
মে মাসে ওই তরুণী বাড়িতে জানান, তিনি শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছেন ব্যবসা করতে। ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসে যোগাযোগ। তারপর কথা হলেও নিজের অবস্থান কিছুতেই বলতে চাইতেন না ওই তরুণী।
কিন্তু জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে তার আর কোনো সন্ধানই নেই। বাড়ির লোক জানেনই না মেয়ে কোথায়। এমনকী তারা বেশি কোনো তথ্যও জানেন না জামাইকে নিয়েও।
শুধু এটুকু জানেন তার বয়স ৩২ বছর। তিনি একজন এমবিএ। প্রশাসনের সন্দেহ, ওই তরুণী যোগ দিয়েছেন আইএসে।
১১ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম