এখনই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে ভারত যেসব অস্ত্র ব্যবহার করবে, তার মধ্যে অন্তত ১১টি শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে। এসব অস্ত্রের কারণে সুনিশ্চিত জয়ের আশা করছে ভারত। সেই ১১টি অস্ত্র হল-
১. এসইউ ৩০ এমকেআই: এই শতকের ভারতীয় বিমানবাহিনী বলতে বোঝায় এই বিমানটিকেই। এর পাল্লা ৪,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি। ৮,০০০ কেজি গোলাবারুদ বহনে সক্ষম। আকাশে এরল ম্যানুভারও চোখে পড়ার মতো। সবন মিলিয়ে পৃথিবীর অন্যতম সেরা। পাকিস্তানের কাছে এমন জিনিস নেই।
২. ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র: ভারতের সম্ভবত সবথেকে বিখ্যাত অস্ত্র। এই ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র পেলে বর্তে যাবে অনেক দেশই। নৌবাহিনীর হাতেও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সেগুলি আবার নৌবাহিনীর মতো করে তৈরি করা হয়েছে।
৩. আইএনএস চক্র: এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী সাবমেরিন আইএনএস চক্র। পাকিস্তান তো দূর স্থান, বহু শক্তিশালী দেশের কাছেই এমন সাবমেরিন নেই।
৪. ফ্যালকন এডব্লিউএসিএস: একবার আকাশে ওড়ার অপেক্ষা। এর শক্তিশালী রাডারে পলকে ধরা পড়ে যাবে শত্রুপক্ষের কী কী কোথায় রয়েছে। এমন শক্তিশালী রাডার পৃথিবীর খুব কম দেশের কাছেই রয়েছে।
৫. কলকাতা ক্লাস ডেসট্রয়ার্স: আইএনএস বিক্রমাদিত্য কাজ করবে কলকাতা ক্লাস ডেসট্রয়ার্সের সঙ্গে। শত্রুপক্ষের যুদ্জাধহাজ ধ্বংস করতে এর জুড়ি মেলা ভার। জলে এর গতিও খুব ভাল।
৬. আইএনএস বিক্রমাদিত্য: ভারতের সবথেকে বড় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার। ভারতীয় নৌবাহিনীর সবথেকে বড় যুদ্ধজাহাজ। একসঙ্গে ২৪টি মিগ এবং ৬টি কপ্টার বহন করার শ্রমতা রয়েছে এটির। এই জাহাজ থেকেই উড়তে পারে যুদ্ধবিমান। অবতরণও সম্ভব।
৭. টি ৯০ এস ভীষ্ম: রাশিয়ার থেকে এই ট্যাঙ্ক কেনার পরে সেটি নিজের মতো করে উন্নত করেছে। অত্যন্ত হালকা এই ট্যাঙ্ক খুব দ্রুতগামী। ককপিটে তিনজন জওয়ান থাকতে পারেন। ট্যাঙ্কের মাথায় যে মেশিন গানটি রয়েছে, সেটি স্বয়ংক্রিয়।
৮. পি ৮১ নেপচুন: ভারতের দীর্ঘ উপকূলের কথা মাথায় রেখে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই বিমানটি নিজের বেস থেকে ২,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে, ৪ ঘণ্টা ধরে আকাশ থেকেই জলের তলায় শত্রুর সাবমেরিন খুঁজে সেই ২,০০০ কিলোমিটার পথ ফিরে আসতে পারে স্রেফ নিজের বহন করা জ্বালানি খরচ করেই।
৯. নামিকা (নাগ মিসাইল ক্যারিয়ার): এটি ভারতের গুপ্ত অস্ত্র। এতে ৮টি নাগ মিসাইল একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। সঙ্গে আরও ৮টি নিয়ে যাওয়া যায় রিলোড করার জন্য। এই ক্যারিয়ারের বৈশিষ্ট্য হল, এটি জলে এবং স্থলে সমানভাবে চলাফেরা করতে পারে।
১০. ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম: পৃথ্বী এয়ার ডিফেন্স (পিএডি) এবং অ্যাডভানস্ড এয়ার ডিফেন্স (এএডি) দিয়ে যে কোনও ধরনের ক্ষেপনাস্ত্রকে ভোঁতা করে দেওয়া যায়। ফলে পাকিস্তান যতই হুমকি দিক, তারা ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে ভারতকে ধ্বংস করতে পারবে না।
১১. পিনাক এমএলআর: এমন শক্তিশালী মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম খুব কম দেশেরই রয়েছে। পাকিস্তানের তো নেই-ই। একসঙ্গে ১২টি রকেট ধেয়ে যেতে পারে শত্রুর দিকে। সূত্র: এবেলা
১২ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম