আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এখনো উত্তপ্ত কাশ্মীর। নতুন করে গোলমালের খবর পাওয়া না গেলেও থমথমে গোটা কাশ্মীর। যে কোনো মুহূর্তে যেন ফের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাম্পোর এবং কুপওয়ারা সহ কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় জারি রয়েছে কারফিউ। অন্যত্র কারফিউ না থাকলেও সাধারণ মানুষের গতিবিধির ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করা রয়েছে।
পুলিশের গুলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের পোস্টার বয় বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই অশান্ত কাশ্মীর। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের একজন পুলিশকর্মী। রবিবার রাতে এক কনস্টেবলকে জিপসুদ্ধ ঝিলম নদীর পানিতে ডুবিয়ে মারে বিক্ষুব্ধরা। শনিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে মুস্তাক আহমেদ নামে এক ব্যক্তির। শনিবার কুলগাঁও-এর খুদওয়ানিতে আহত হয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। কাশ্মীরের ডিভিশনাল কমিশনার আসগর সামুন এ কথা জানিয়েছেন।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি অনন্তনাগ জেলায়। শনিবার থেকে বুধবারের মধ্যে এখানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুলগাঁওয়ে মারা গিয়েছে ৮ জন, সোপিয়ানে মৃতের সংখ্যা ৫, পুলওয়ামায় ৩ এবং শ্রীনগর ও কুপওয়ারায় এক জন করে মারা গিয়েছে। ওয়ানির মৃত্যুর পর পঞ্চম দিনেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারল না কাশ্মীরবাসী। বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের ডাকে উপত্যকা জুড়ে চলছে ধর্মঘট। বন্ধ দোকান-বাজার, স্কুল-কলেজ সবই। রাস্তাঘাটে যান চলাচল নেই বললেই চলে। চলছে না ট্রেন। বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। দক্ষিণ কাশ্মীরের চার জেলায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল পরিষেবাও।-টাইমস অফ ইন্ডিয়া
১৩ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই