আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৃটেনের স্থানীয় সময় তখন বুধবার বিকাল প্রায় পৌনে ৫টা। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে দেশি বিদেশী সাংবাদিকের ঢল। স্ত্রী সামান্থ ক্যামেরন ও তিন সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ইংরেজিতে লেখা ঐতিহাসিক ১০ লেখা কালো দরজাকে পিছনে রেখে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ ভাষণ দিলেন। বললেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা তার জন্য সর্বোচ্চ সম্মানের। প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার আগে অর্থনীতিকে রেখে গেলাম তীব্র শক্তিশালী একটি অবস্থানে।
এ সময়ে তিনি বলেন, তিনি কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করেছেন। ঘাতটি কমিয়েছেন। এ ছাড়া তার প্রধানমন্ত্রিত্বের মূল অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে সমকামী বিয়ে। তিনি বলেন, আমাদের এই চলার পথ সহজ ছিল না। অবশ্যই আমরা সব সিদ্ধান্ত সঠিক নিতে পারি নি। তবে আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ওদিকে পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে তিনি টুইটারে তার প্রোফাইল পরিবর্তন করে ফেলেছেন। ক্যামেরন বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি কনজার্ভেটিভ পার্টির মেনিফেস্টো বাস্তবাসনে তেরেসা মে দৃঢ় ও স্থিতিশীল এক নেতৃত্ব দেবেন। ছয় বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশে সেবা করতে পারা আমি মনে করি আমার জীবনের সবচেয়ে সম্মানের।
অন্যদিকে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংস্পর্শে রাখার জন্য উত্তরসূরি তেরেসা মে’র কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ‘ব্রেক্সিট’ অর্থাৎ, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর গুরুদায়িত্ব নিয়ে তেরেসা মে নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার আগে বুধবার তাকে এমন আহ্বানই জানালেন ক্যামেরন। গত ২৩ জুনের গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসার পরপরই হতাশ হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ইইউ এর পক্ষে প্রচার চালানো ডেভিড ক্যামেরন। ব্রেক্সিটের রায়ে বৃহত্তর ঐক্যের জন্য ইউরোপের প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
১৪ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ