আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসনের চুলের স্টাইল বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে। কিন্তু ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদের চুল কখনোই ‘খবর’ হয়ে ওঠেনি। এবার সেই ঘটনা ঘটাল দেশটির সাপ্তাহিক সংবাদ সাময়িকী লা ক্যানার্ড এনচেইনে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে তারা বলেছে, সমাজতন্ত্রী রাজনীতিক হয়েও ওলাঁদ চুলের যত্নে মাসে খরচ করেন ১৪ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের এ অর্থের প্রায় পুরোটাই যায় অলিভার বি নামের তার চুল পরিচর্যাকারীর পকেটে।
খবরটি প্রকাশের পরপরই ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এফএন) এক জনপ্রতিনিধি টুইটারে ওলাঁদকে বিদ্রূপ করে ‘মহামান্য’ (হিজ ম্যাজেস্টি) বলে সম্বোধন করেছেন।
অন্য ব্যবহারকারীরাও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের ছবির ওপর নানা ঢঙের হেয়ারস্টাইল যুক্ত করে পোস্ট করছেন। কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী তো ২০১৭ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কয়েকজন ন্যাড়া মাথার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁদের মতে, এতে করে করদাতাদের কিছু অর্থ বেঁচে যাবে।
লা ক্যানার্ড এনচেইনে তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বেতনের পাশাপাশি ওলাঁদের এই চুল পরিচর্যাকারী আবাসন ভাতা ও পারিবারিক অন্যান্য সুবিধাও পেয়ে থাকেন। প্রেসিডেন্টের বেশির ভাগ বিদেশ সফরেও তিনি তার সঙ্গে থাকেন।
পরিচর্যাকারীর সঙ্গে চুক্তির শর্ততে বলা হয়েছে, নিজের কাজের ব্যাপারে অবশ্যই তিনি গোপনীয়তা বজায় রাখবেন এবং দায়িত্ব পালনের সময় তিনি যেসব তথ্য জানবেন, তার সবই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তিনি গোপন রাখবেন।
১৪ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম