আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাকির নায়েকের সাংবাদিক সম্মেলন ফের বাতিল হয়ে গেল। আফ্রিকা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু এ বারও শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল কর্মসূচি।
হোটেলে ভাড়া না পাওয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারলেন না জাকির নায়েক। জানিয়েছেন, জাকিরের মিডিয়া ম্যানেজার। গত মঙ্গলবারও জাকির নায়েক মুম্বাইতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু ভারতে ফেরার পরিকল্পনা তিনি বাতিল করায় সেই কর্মসূচিও বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
জাকির নায়েক এখন আফ্রিকায়। ঢাকায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে তিনি। ঢাকার হামলাকারীদের মধ্যে অন্ত দু’জনকে সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন জাকির, অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ পেয়েই জাকির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। কিন্তু জাকির এখনও তদন্তকারীদের মুখোমুখি হননি।
সোমবার সৌদি আরব থেকে মুম্বাই ফিরে আসার কথা ছিল তার। কিন্তু তিনি দেশে ফেরা পিছিয়ে দিয়ে সৌদি আরব থেকে আফ্রিকায় চলে যান। জাকির নায়েকের দফতর থেকে জানানো হয়েছিল, আফ্রিকা থেকেই স্কাইপের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন তিনি। কিন্তু তা হল না। জাকিরের দফতর সূত্রেই ফের জানিয়ে দেওয়া হল, সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল।
এ প্রসঙ্গে জাকিরের দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য যত বার হোটেল বুক করা হয়েছে, তত বারই চাপ দিয়ে বুকিং বাতিল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাকির নায়েকের মিডিয়া ম্যানেজার বলেছেন, ‘অন্তত চারটি হোটেল আমাদের বুকিং নেওয়ার পরও তা বাতিল করে দিয়েছে। আমরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে নিমন্ত্রণ পত্রও পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার হোটেল কর্তৃপক্ষ জানাল বিদ্যুৎ না থাকায় তারা বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন। ভাবুন— একটা বিশ্ব মানের হোটেলের নাকি বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা নেই!’’
হোটেল কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে বুকি বাতিল করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেও, চাপ কারা দিলেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি জাকির নায়েকের সংস্থার তরফে। দেশে ফেরার পরিকল্পনা বাতিল করলেও জাকির নায়েক গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন জোগাড় করে নিয়েছেন। আসাদুদ্দিন ওয়েইসির দল এআইএমআইএম, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এবং সমাজবাদী পার্টি জাকির সমর্থনে মুখ খুলেছে। তার পরই স্কাইপ সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
১৫ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস