আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর জন্য এবার নতুন রাস্তা নিলো পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিভিন্ন সংগঠন থেকে টাকা পাঠানো শুরু করা হয়েছে কাশ্মীরে। তারপর সেই টাকা বিচ্ছিনতাবাদী নেতা এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। খবর ইন্ডিয়া ডট কমের।
কাশ্মীরে অশান্তি ছড়াতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই পাকিস্তান থেকে ওই টাকা কাশ্মীরের বিভিন্ন বিচ্ছিনতাবাদী সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের দাবী।
গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদ এবং হিজবুল প্রধান সাঈদ সালাউদ্দিনের মাধ্যমেই ওই টাকা সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে পৌঁছায়। তারপর সেখান থকে বিভিন্ন সংগঠনের হাত ঘুরে পৌঁছায় বিচ্ছিনতাবাদী নেতাদের হাতে। ওই টাকা ব্যবহার করেই বিচ্ছিনতাবাদী নেতারা স্থানীয় যুবকদের কাছে টানার কাজ শুরু করে।
এরপর ওই সব যুবকদের দিয়েই অশান্তি ছড়ানোর কাজ শুরু করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়াতে ব্যবহার করা হয় ওই যুবকদের। সূত্রের দাবি, টাকার লোভ দেখিয়েই কাছে টানা হয় কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকদের।
শুধু তাই নয়, অনেক সময় হামলার আগে ওই যুবকদের কাজে লাগিয়ে সমস্ত খোঁজ খবর নেওয়ারও কাজ শুরু করে জঙ্গিরা। অর্থাৎ, ছোট হোক বা বড়, যে কোনও হামলার আগে ওই যুবকদের কাজে লাগিয়ে মাঠ পরিষ্কারের কাজ শুরু করা হয়। এক কথায়, স্থানীয় ওই যুবকদের এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেই কাশ্মীরে একের পর এক অশান্তি ছড়ানোর কাজ শুরু করে হাফিজ সাঈদ ও সালাউদ্দিনরা।
ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে ওই আশঙ্কার কথা প্রকাশ পেতেই চাঞ্চল্য শুরু হয়। একদিকে যখন কাশ্মীরের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যদের সংযত থাকার বার্তা দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ঠিক তখনই পাকিস্তান থেকে অশান্তি ছড়ানোর পুরো ব্যবস্থা পাকা করার চেষ্টা করছে হিজবুল প্রধান এবং জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানরা।
ইতিমধ্যেই জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে, এই প্রথম নয়, জেএনইউ-এর ঘটনা সামনে আসার পরও একবার হাফিজ সাঈদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ওপর নজরদারি শুরু করা হয়।
আর এবার হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর, তার সমর্থনে সাঈদ একের পর এক ভিডিও আপলোডের কাজ শুরু করে পাকিস্তান থেকে। আর তার জেরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় জামাত-উদ-দাওয়া প্রধানের ট্যুইটার হ্যান্ডেল। তবে, কবে কখন বার হাফিজ সাঈদ অন্য নামে ট্যুইটার হ্যান্ডেল খুলে ফেলে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
ভারকের আইবি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাফিজ সাঈদ এবং সালাউদ্দিনকে কাজে লাগিয়েই পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৬জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস