সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০১৬, ০৮:৩৫:২৯

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের পিছনে কি আমেরিকার হাত?‌

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের পিছনে কি আমেরিকার হাত?‌

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নির্বাসিত ইমাম ফেতুল্লা গুলেনই আমেরিকা থেকে প্ররোচনা দিয়েছেন বিদ্রোহীদের?‌ উঠে আসছে এসব প্রশ্ন। শুক্রবার রাতের ওই অভ্যুত্থানে ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত দেড় হাজারেরও বেশি। চলছে এখন ব্যাপক ধরপাকড়। অভ্যুত্থানে যোগসাজশের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে।

যার মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর কয়েক ডজন উচ্চপদস্থ কর্তা, প্রবীণ বিচারক থেকে আইনজীবী। তুরস্কের স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি দাবি করেছে, বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ৩৪ জন জেনারেলকে আটক করা হয়েছে। ২ হাজার ৭৪৫ জন বিচারকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়। ‌ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবার ইনসিরলিক বিমানঘাঁটি থেকে অভ্যুত্থানে মদত দেওয়ার অভিযোগে বেকির ইরক্যান ভ্যান নামে বিমান সেনার এক ব্রিগেডিয়ারকে আটক করা হযেছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি–কে তুরস্ক সরকারের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, তাদের সন্দেহ ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিকে অভ্যুত্থানের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। তাদের মতে, শুক্রবার রাতে ছিনতাই হওয়া সাঁজোয়া বিমানগুলোতে জ্বালানি ভরা হয়েছিল ইনসিরলিক থেকেই। সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে  দক্ষিণের আদানা প্রদেশের ইনসিরলিক বিমানঘাঁটি ব্যবহার করতে দিয়েছিল তুরস্ক।

তবে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে তাদের যোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন সূত্রে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থানের পরই এই বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতেও থামছে না বিতর্ক। তুরস্কের শ্রমমন্ত্রী সুলেমান সায়লু রোববরাই অভিযোগ করেছিলেন, সেনা অভ্যুত্থানে মদত দিয়েছে আমেরিকা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি।

তার দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘‌ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্তে তুরস্ককে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন জন কেরি। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে মার্কিন যোগ খোঁজা ব্যর্থ প্রচেষ্টা। এরফলে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’‌

ইতিমধ্যে মার্কিন বিদেশ দপ্তর তাদের নাগরিকদের তুরস্কভ্রমণ থেকে নিরস্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, তুরস্কে যেভাবে মার্কিনিদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাতে সে দেশে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত আবার ভেবে দেখা উচিত।

এদিকে, ইমাম ফেতুল্লা গুলেনকে তাদের হাতে তুলে দিতে আমেরিকার কাছে আর্জি জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোয়ান। এই গুলেনকেই মূল চক্রী মনে করছে তুরস্কের গোয়েন্দারা।

তাদের অভিযোগ, গুলেন ‘‌ফত্তুল্লাচি টেরর অর্গানাইজেশন’‌ (‌এফ ই টি ও)‌ নামে এক সংস্থা চালান। তারা সমান্তরাল সরকার চালায়। তবে গুলেন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার সমর্থকরা বলেছেন, তাদের সংগঠন ‘‌হিজমেত’‌ একটি সামাজিক সংসগঠন।

১৮ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে