আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থান ব্যর্থ। নিহতের সংখ্যা প্রায় দু’শো ছুঁয়েছে। যার মধ্যে সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন। অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে আড়াই হাজারেরও বেশি সেনাকে আটকে করা হয়েছে।
আপাতত প্রেসিডেন্ট এরদোগান সুরক্ষিত। কিন্তু প্রায় এক দশক ধরে দোর্দণ্ড প্রতাপে শাসন চালানোর পরে এরদোগানের কর্তৃত্ব শাসন নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠল? কেন তুরস্কের সেনা বাহিনী তার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মাঠে নেমেছেন? এই প্রশ্ন এখন বেশ জোরালো ভাবে চারদিকে শুনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে পৃথিবীতে তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি একই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এবং পবিত্র কোরআনে হাফেজ। এখনো পার্লামেন্টে মাঝে মাঝেই তিনি নামাজের ইমামতি করেন এবং তুরস্কে অনেক মসজিদে তিনি ইমামতি করেছেন। প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে প্রতি বছর কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং এতে মুসলিম দেশের অনেক হাফেজরাই অংশ গ্রহন করে থাকে।
এই খ্যাতি ও সুনামের জন্য বর্তমান পুরাে পৃথিবীতে একটি আলোচিত নাম এরদোগান। এছাড়াও তার শাসন ও খ্যাতি জন্য এখন তুরস্কের হাজারো মানুষ মরতে রাজি তার আহবানে। এতো জনপ্রিয়তার মধ্যে তার বিরুদ্ধে কেন সেনা বাহিনী ওঠেপড়ে লেগেছেন? কেন তুরস্কে বিদ্রোহী চলছে?
এমন একটি প্রশ্নের জবাবে গেল শনিবার বাংলা ম্যাগাজিন সাপ্তাহিকের সম্পাদক গোলাম মোর্তজা মন্তব্য করেছেন, এই সেনা অভ্যুত্থান আমেরিকার পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় হচ্ছে। তিনি শনিবার রাত ১১.৩০ মিনিটের দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এই মন্তব্য করেন।
সাংবাদিক মোর্তজা বলেন, এরদোগান আমেরিকার পোষা প্রাণী। গত কিছুদিন সে একটু এদিক-সেদিক করছিল। আমেরিকার যা পছন্দ হয়নি। এরদোগানকে একটু শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন ছিল।
সেনা অভ্যূত্থান ঘটানো, জনগণকে রাস্তায় নামানো,অভ্যূত্থান ব্যার্থ করে দেয়া, এরদোগানকে নাকে খাত দেয়ানো, আবার ক্ষমতায় আনা -পুরোটাই হয়েছে আমেরিকার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনায়। গোলাম মোর্তজা আরো লেখেন, অভ্যূত্থান দেখে এদেশে যারা উৎফুল্ল হচ্ছিলেন, যারা মন খারাপ করেছিলেন-সবই অর্থহীন!
১৯ জুলাই,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আ শি/এএস