আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিতর্কিত চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর টহল নিয়ে গতকাল বুধবার সরাসরি আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চীন। নিয়ম মেনে যদি নৌ-টহল না দেয় আমেরিকা, তাহলে তাদেরকে চরম এবং ভয়ানক পরিস্থিতি দেখতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বেজিং। সেই হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ টহল চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা। ওই সাগরের বিশাল অংশের ওপর চীনের মালিকানা প্রত্যাখ্যান করে একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়ার পর এই ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন।
চীনের উত্তরাঞ্চলীয় একটি মার্কিন নৌ-ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধান জন রিচার্ডসন বলেছেন, “মার্কিন নৌবাহিনী দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিশ্বব্যাপী নিজের নিয়মিত ও ‘বৈধ’ টহল চালিয়ে যাবে।”
দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের মতবিরোধ রয়েছে। মার্কিন সরকার এই বিরোধে চীনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং ওই সাগরে মাঝেমধ্যেই রণতরীসহ টহল জাহাজ পাঠাচ্ছে। রিচার্ডসন আরো দাবি করেন, যেখানেই আন্তর্জাতিক আইন অনুমতি দেয় সেখানেই নৌ ও আকাশপথে টহল চালিয়ে যাবে তার দেশ।
হেগের একটি আন্তর্জাতিক আদালত গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর বেজিংয়ের মালিকানা নাকচ করে দিয়ে যে রায় দিয়েছে বেজিং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। চীন হেগের আদালতের রায়কে ‘বর্জ্য কাগজ’ বলে উল্লেখ করেছে। চীনা নৌবাহিনীর প্রধান ওউ শেংলি সোমবার জেনারেল রিচার্ডসনকে বলেন, স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের কাজে বেজিং নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাবে। ওই এলাকায় কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে সেখানে বিমান ঘাঁটিও স্থাপন করেছে বেজিং।
২১ জুলাই, ২০১৬ এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই