শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১১:৫০:৪৯

মুসলিম নারীর দেওয়া কিডনিতে বাঁচল হিন্দু নারীর জীবন

মুসলিম নারীর দেওয়া কিডনিতে বাঁচল হিন্দু নারীর জীবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিন্দু নারীর জীবন বাঁচাতে কিডনি দান করলেন এক মুসলিম নারী। প্রতিবেশি ভারতের উত্তর প্রদেশের শামসাদ বেগমের এই কিডনি দান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যন্য নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যদিও দেশটিতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর প্রতিনিয়ত চলে অত্যাচার। এমনকি গরুর গোস্ত রাখা বা খাওয়ার জন্য নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যই মহারাষ্ট্রে আরতি (৩৮) নামে এক নারীকে নিজের কিডনি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মুসলিম নারী। কিন্তু এতেও কি হিন্দু জঙ্গি ও মৌলবাদীদের টনক নড়বে?  

শনিবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ায়র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শামসাদ কিডনি দানের ইচ্ছাপত্রসহ যাবতীয় নথিপত্র ফতেহপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে জমা দিয়েছেন। এখন সরকারের অঙ্গদান অনুমোদন কমিটির সায় পেলেই পরবর্তী কার্যক্রম চালাবেন চিকিৎকিৎসকরা।  

শামসাদের ছোট বোনের বান্ধবী আরতির দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এক বছর ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তার ডায়লাইসিসি চলছে, যা দেখে নিজের কিডনি দিয়ে বোনের বান্ধবীকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

তিনি বলেন, তার (আরতি) শারীরিক যাতনা দেখে আমি আর থাকতে পারিনি, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়ে দেখি আমার আর তার রক্তের গ্রুপ একই। এখন আমি কিডনি দেওয়ার জন্য পুরোপুরি তৈরি।

শামসাদ বলেন, ধর্ম দিয়ে নয়, মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে চেয়েছি, তাই একজন মানুষের জন্য আমার এই ত্যাগ।

১০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর ফতেহপুরের রাঢ়িবুজুর্গ গ্রামে বাবার বাড়িতে বসবাস শামসাদের। তার ছোট বোন থাকেন মহারাষ্ট্রের পুনেতে, সেখানে গিয়ে আরতিকে দেখেন শামসাদ।

মেয়ের সিদ্ধান্তে কোনো আপত্তি করেননি শামসাদের বাবা জাকির খান। তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়াই সারা হয়েছে। দুই পরিবারও রাজি, এখন সরকারি কমিটির অনুমোদন পেলেই হয়।

প্রত্যেক মানুষের দুটি কিডনি থাকলেও একটি কিডনি নিয়েও বেঁচে থাকা সম্ভব।

ফতেহপুরের জেলার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. বিনয় কুমার বলেছেন, তারা শামসাদ বেগমের সব কাগজপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটিতে পাঠিয়েছেন, এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
৩০ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে