শুক্রবার, ১২ আগস্ট, ২০১৬, ১১:০৩:২১

সিরিয়াল দেখতে না দেয়ায় শিশুকে গলাটিপে হত্যা করল কিশোরী!

সিরিয়াল দেখতে না দেয়ায় শিশুকে গলাটিপে হত্যা করল কিশোরী!

বিনোদন ডেস্ক : সিরিয়ালের কারণে অন্য অনুষ্ঠান খুব বেশি দেখাই যায় না অনেকের।  পরিবারের অধিকাংশ মেয়ে সন্ধ্যা হলেই সিরিয়াল দেখতে টিভির সামনে বসে যান।

শুধু বয়স্ক মেয়েরাই না সিরিয়াল দেখার ভক্ত অনেক কম বয়সী মেয়েরাও।  তাই তো নিজের প্রিয় সিরিয়াল দেখতে বাধা দেয়ায় শিশুকে গলাটিপে খুন করে ফেললো ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী।  

বুধবার রাতে ভারতের তমলুক কোলাঘাটের মেচেদা বাজার লাগোয়া শান্তিপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় এমন ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মেয়েটি মন দিয়ে সিরিয়াল দেখছিল। কিন্তু বাড়িওয়ালার ছেলে পাঁচ বছরের অর্পণের তা একেবারেই পছন্দ হয়নি। সে দেখতে চায় কার্টুন।

তাই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল বারবার। রেগে গিয়ে ওই কিশোরী গলা টিপে ধরে অর্পণের। তাতেই মারা যায় শিশুটি। পুলিশের কাছে নিজেই অর্পণকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোরী।

এই ঘটনায় পুলিশ ওই নাবালিকাকে গ্রেফতার করেছে।

জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, জেরায় মেয়েটি স্বীকার করেছে, সে টিভিতে সিরিয়াল দেখার সময় কার্টুন দেখতে চেয়ে তাকে বিরক্ত করছিল অর্পণ।  রেগে গিয়ে তার গলা টিপে ধাক্কা দেয় ওই কিশোরী।  প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে- এতেই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর।

বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীকে তমলুক জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়েছে।

অর্পণের বাবা জগন্নাথ জানা ও মা গীতা জানা মেচেদা বাজারে সব্জির ব্যবসা করেন। তাদের দুই ছেলে। ছোট অর্পণ স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ত। জগন্নাথবাবুর বাড়ির একটি ঘরে মাস চারেক আগে ভাড়া এসেছিলেন ধৃত কিশোরীর বাবা-মা।

দুই পরিবারের বড়রা সারাদিন বাড়ির বাইরে থাকেন। তাই পাঁচ বছরের অর্পণের দিন কাটত ভাড়াটিয়ার কিশোরী মেয়ের সঙ্গে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিকালে গীতাদেবী মেচেদা বাজারে চলে যান। বাড়িতে ছিলেন জগন্নাথবাবু। বাড়ির আর এক ভাড়াটিয়া সোমনাথ দাসের কাছে প্রতিদিনের মতো পড়তে গিয়েছিল অর্পণ।

জগন্নাথবাবু বলেন, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে ছেলের পড়া হয়ে যায়। কিন্তু ঘুম ভেঙে উঠে দেখি ছেলে ঘরে নেই।

রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ওই কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, অর্পণকে দেখেনি। কিন্তু ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়।  

জোর করে ঘরে ঢুকে খাটের নিচ থেকে অর্পণকে উদ্ধার করা হয়। সে সময় অর্পণের মুখ থেকে রক্ত বেরোচ্ছিল। মেচেদা বাজারের কাছে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
১২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে