বিনোদন ডেস্ক : প্রখ্যাত কোরিওগ্রাফার ও ডিরেক্টর প্রভু দেবা এবার তার স্বপ্নের প্রজেক্ট হিসেবে বড় পর্দায় আনতে চলেছেন ‘রামায়ণ’–এর কাহিনীকে। আর এই ছবির দুটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন বিগ বি অমিতাভ বচ্চন এবং দক্ষিণি সুপারস্টার রজনীকান্ত।
তবে প্রভু দেবা তার রামায়ণকে তৈরি করতে চাইছেন একদম অন্য ধাঁচে। মহাকাব্যের সঙ্গে রূপকথা ও কল্পনার মিশেলে তৈরি হলিউডি ব্লকব্লাস্টার ছবি ‘লর্ড অফ রিংস’–এর অনুকরণেই হতে চলেছে প্রভু দেবার এই স্বপ্ন-ছবি।
পিটার জ্যাকসন পরিচালিত তিন পর্বের এই হলিউড ফিল্মের প্রথমভাগ ‘রিং’ মুক্তি পায় ২০০১ সালে, ২০০২ সালে রিলিজ করে ‘দ্য টু টাওয়ার্স’ এবং সর্বশেষ ও তৃতীয় ভাগ ‘রিটার্ন অফ দ্য কিং’ পর্দায় আসে ২০০৩ সালে। আর এই ছবি দেখেই প্রভু দেবার মনে ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে জন্মায়। এত বছর ধরে পরিকল্পনা এবং পর্যালোচনার পর অবশেষে প্রভু ছবিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেন।
প্রভু দেবা এই মহাকাব্যিক ছবির দুই প্রধান চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন ও রজনীকান্তের মতো হেভিওয়েট দুই অভিনেতাকে। ইতিমধ্যেই এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিয়েছেন রজনীকান্ত। বিগ বি-র সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হলেও চূড়ান্ত আলোচনা বাকি এখনও। তবে প্রভুর বিশ্বাস বলিউড শাহেনশা তাকে নিরাশ করবেন না।
এক সাক্ষাৎকারে প্রভু বলেছেন তিনি সীতা চরিত্রে এমন একজনকে বেছে নিতে চাইছেন যাঁর চেহারা ও রূপের মধ্যে একই সঙ্গে গ্ল্যামারের ঝলক এবং ভারতীয় নারীর চিরন্তন রূপের সহাবস্থান থাকবে। এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ভাবনার পর্যায়ে রয়েছে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের নাম।
তবে সমালোচকরা বলছেন, ঐশ্বর্যকে না পেলে প্রভু হাত বাড়াতে পারেন সোনাক্ষী সিনহার দিকে। কারণ, ইতিহাস বলছে বলিউডে এ যাবৎ মোট ৬টি ছবি পরিচালনা করেছেন প্রভু দেবা। আর তার মধ্যে তিনটিতেই নায়িকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শত্রুঘ্ন–তনয়া সোনাক্ষীকেই। আর সোনাক্ষী অভিনীত ২০১২ সালের ‘রাউডি রাঠোর’ তাঁকে বেশ সাফল্যের মুখও দেখিয়েছিল।
এরপর ২০১৩-র আর রাজকুমার বা গত বছরের ‘অ্যাকশন জ্যাকসন’ বক্স অফিসে সেভাবে তুমুল সাইক্লোন না তুললেও নিতান্ত হতাশও করেনি প্রভুকে। সুতরাং, ঐশ্বর্য নাকচ করলেও, সোনাক্ষী প্রভু দেবার হাতের পাঁচ তো আছেনই। যদিও এই মুহূর্তে প্রভু চূড়ান্ত ব্যস্ত অক্ষয়কুমার, ক্যাটরিনা কাইফ, অ্যামি জ্যাকসন, লারা দত্ত, কে কে মেনন অভিনীত ২ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলা তাঁর নতুন ছবি ‘সিং ইজ ব্লিং’ নিয়ে। অ্যাকশন কমেডি ঘরানার এই ছবিটিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই দর্শক সমালোচকদের মধ্যে উৎসাহ তুঙ্গে।
তবে রামায়ণ নিয়ে উৎসাহ থাকলেও পরিচালক প্রভু নিজেই স্বীকার করেছেন যে, রামায়ণ তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের দরকার হবে। আর তার বাজেট হয়ত ছাপিয়ে যাবে ইতিপূর্বের হেভিওয়েট বলিউডি ফিল্মগুলোকে। সুতরাং, এই ছবির প্রযোজক নিয়ে সামান্য হলেও চিন্তার ভাঁজ তো থাকছেই প্রভুর কপালে। যা খবর, তাতে এখনও পর্যন্ত দুটি সংস্থা এই বিপুল অর্থের জোগান দিতে রাজিও হয়েছে। তবু প্রভুর বক্তব্য, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। কিন্তু রামায়ণ দিয়ে বলিউডে অন্য ঘরানার ছবি তৈরির ক্ষেত্রে এখনই যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তিনি তাতে প্রভুর ক্যামেরায় ভর করে রামায়ণ যে আসছেই এ কথাটা নিশ্চিন্তে বলা যায়।
১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি