বিনোদন ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। একসময় এ অভিনেতা চলচ্চিত্রাঙ্গন দাপিয়ে বেড়ালেও এখন আর তাকে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা যায় না। প্রতিবছর কোরবানির জন্য গরু কিনতে ছেলেদের নিয়ে নিজে গরুর হাটে যেতেন। পছন্দ করে গরু কিনতেন।
কিন্তু এখন কোরবানির গরু কিনতে হাটে যেতে পারেন না এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তিন বছর ধরে গরুর হাটে যাই না। হাটে অনেক ভিড় থাকে। এত ভিড়ের ভেতর যেতে আমার কিছুটা কষ্ট হয়, তাই এখন হাটে যাই না।’
নায়করাজ এখন বাসায় নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কটান। খুব প্রয়োজন ছাড়া তিনি বাসার বাইরে বের হন না। মাঝে মাঝে ছোট ছেলে সম্রাটের পরিচালিত নাটকে অভিনয় করেন। সিনেমায় অভিনয় করেন না বললেই চলে।
সর্বশেষ এ কিংবদন্তি অভিনীত ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’ সিনেমাটি চলতি বছর মুক্তি পায়। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা বেহুলা, আবির্ভাব, নীল আকাশের নিচে, জীবন থেকে নেয়া, কাঁচ কাটা হীরা, ওরা ১১ জন, অবুঝ মন, রংবাজ, আলোর মিছিল, ছুটির ঘণ্টা, আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা ইত্যাদি।
১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উত্তাল সময়ে নতুন জীবন গড়তে একজন সাধারণ মানুষ আবদুর রাজ্জাক, স্ত্রী ও শিশুসন্তান বাপ্পাকে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। জীবনসংগ্রামের পর সফল হয়ে আজকের নায়করাজ উপাধি পেয়েছেন। চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি হয়েছেন। এটা যে কারো কাছেই গল্প বলে মনে হতে পারেন। রাজ্জাক অসীম মনোবল, কঠোর পরিশ্রম আর মমতার মাধ্যমে ঠিকই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। রাইজিংবিডি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি