রবিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৪২:৪৮

যে কারণে দুঃখ পেলেন মৌসুমী !

যে কারণে দুঃখ পেলেন মৌসুমী !

বিনোদন ডেস্ক : জননন্দিত অভিনেত্রী মৌসুমী বলেন, 'আশিকি' ছবিতে আমার চরিত্রের ব্যাপ্তি নিয়ে আমি হতাশ নই। তবে দর্শক কষ্ট পাওয়ায় আমি দুঃখিত। তিনি শনিবার এই প্রতিবেদককে বলেন, কিছু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আমার বরাত দিয়ে বলা হয়, 'আশিকি' ছবিতে কাজ করে আমি হতাশ এবং এই ছবিতে কাজ করা ছিল আমার ভুল সিদ্ধান্ত। আমি বলব এ ধরনের কথা কাউকে বলিনি। আশিকিতে আমার ক্যারেক্টার আরও উন্নত হওয়া দরকার ছিল ঠিক।

তবে এই ছবির প্রযোজক আবদুল আজিজ আমাকে যখন গল্প শুনান ও নতুন একজন নায়িকা প্রমোট করছেন বলেন এবং নতুন মুখকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তখন আমি ছবিটিতে কাজ করতে সানন্দে রাজি হই। আমার চরিত্রের পরিধির কারণে দর্শক যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে সবাইকে বলব বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

মৌসুমীর স্বামী অভিনেতা ওমর সানি বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্য দুঃখজনক। মৌসুমীর সঙ্গে কথা না বলে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন কারও মোটেও উচিত হয়নি। কোনো ছবি মুক্তির সময় সেই ছবির শিল্পী সে ছবি বা তার প্রযোজক সম্পর্কে কখনো নেতিবাচক কথা বলেন না। কারণ প্রযোজকের ক্ষতি মানে চলচ্চিত্র শিল্পের ক্ষতি। প্রযোজক না থাকলে চলচ্চিত্র, পরিচালক বা শিল্পী বলে কিছুই থাকবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’ অভিনেত্রী মৌসুমী। ২২ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন প্রায় দু শ’এর মতো ছবি। এবারের ঈদেও মুক্তি পেয়েছে মৌসুমী অভিনীত ছবি ‘আশিকী’। ছবিটির প্রসঙ্গ নিয়ে প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

‘আশিকী’ ছবিতে আপনার চরিত্রের শুরুটা ঠিক থাকলেও শেষটা দর্শকের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, আমার চরিত্রের শুরুটা দেখানো হলেও শেষটা দর্শকের কাছে অজানাই থেকে গেছে। ছবি মুক্তির পর থেকেই এমন কথা শুনতে শুনতে আমি বিরক্ত। শুটিংয়ের সময় পরিচালক খুব তাড়াহুড়ো করেই কাজটা করেছেন। তখন এমনও বলেছিলেন, পরে আরও দু-এক দিন শুটিং করবেন। কিন্তু পরে তাঁরা আর শুটিং করেননি। এ কারণে হয়তো জোড়াতালি দিয়ে গল্পটা মিলিয়ে দিতে চেয়েছেন তাঁরা। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা আমার জন্য খুবই দুঃখজনক। সত্যি কথা বলতে, ‘আশিকী’ ছবিটি নিয়ে আমি হতাশ।

‘আশিকী’ দেখেছেন এমন অনেকেই বলেছেন, ছবিতে ‘ক্রোমা শট’ বেশি ব্যবহৃত হয়েছে এবং পর্দায় তা ভালো লাগেনি। প্রেক্ষাগৃহে অনেকের কাছেই তা বিরক্তিকর লেগেছে। অনেককেই বলতে শোনা গেছে, কার্টুন ছবি দেখছি না তো...
আমি আসলে এখনো ছবিটি দেখিনি। এই ধরনের কথা কয়েক দিন ধরে আমিও শুনছি। পরিচিতজনদের অনেক এমনও বলছেন, ছবিটির গল্প বলার ধরনটাও তাঁদের মোটেও ভালো লাগেনি। নায়ক অঙ্কুশকেও কেমন যেন অন্যরকম লেগেছে। ছবিতে অকারণে হিন্দি সংলাপের ছড়াছড়ি। শুরুর দিকটা নাকি বেশি বিরক্তিকর ছিল। তবে ছবির গানগুলোর চিত্রায়ণের বেশ প্রশংসা শুনেছি। ‘আশিকী’ ছবিতে কাজ করা আমার অভিনয়জীবনের একটা ভুল সিদ্ধান্তই বলতে পারেন।
৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে