বিনোদন ডেস্ক : কেসি বার্গের বয়স ৫৩ বছর। কখনো ভাবতেও পারেননি এই বয়সে এত তরুণ ও স্মার্ট স্বামী পাবেন। এরপরও ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলেন।
একদিন তিনি তার এক সহকর্মীকে ভালবাসায় পূর্ণ এক টেক্সট ম্যাসেজ পাঠান। কিন্তু ভুল করে তা চলে যায় ২৩ বছর বয়সী অচেনা এক যুবক হেনরি গ্লেন্ডেনিংয়ের কাছে। সেই ভুল থেকেই জন্ম নিয়েছে এক অসম প্রেম। তারই চূড়ান্ত পরিণতি ঘটেছে তাদের বিয়ের মধ্য দিয়ে।
এই দম্পতির বয়সের পার্থক্য ৩০ বছর। পাত্রীর চেয়ে ছোট পাত্র।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মিরর। এতে বলা হয়েছে, ওই যে বয়সের ফারাক তা তাদের প্রেমের কাছে তুচ্ছ । এর আগে বিয়ে হয়েছিল কেসি বার্গের। সে বিয়ে টেকেনি। তাই তিনি নিজের মনের মতো কাউকে খুঁজছিলেন। একদিন অফিসের এক সহকর্মীর কাছে প্রেম নিবেদন করে পাঠিয়ে দেন এক টেক্সট ম্যাসেজ। কিন্তু তা যথাস্থানে না গিয়ে পড়ে হেনরির হাতে। সেই থেকে দুজনের যোগাযোগ। আস্তে আস্তে সেই যোগাযোগ প্রেমে রূপ নেয়।
এ প্রেম নিয়ে কেসি বার্গ বলেছেন, বিবাহিত জীবনের ইতি ঘটার পর আমি একাকী হয়ে পড়ি। তবে তাই বলে আমার সহসাই কোন পুরুষের সাহচর্য্য দরকার ছিল না। একদিন কাকতালীয়ভাবে জানাশোনা হয়ে যায় হেনরির সঙ্গে। সেই থেকে আমাদের পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম। স্ত্রী কেসিংয়ের থেকে ৩০ বছরের ছোট হেনরি বলেন, বয়স আসলে আমাদের মাঝে কোন ব্যবধান সৃষ্টি করে নি। পরিচয় হওয়ার পর পর আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তা গভীর থেকে গভীর হতে থাকে।
শুরুতে, একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে মনে হয়েছিল আমরা একই অবস্থানে থেকে আন্দোলিত হচ্ছি। আমাদের মনে দোলা লেগেছে। কেসির টেক্সট ম্যাসেজ পাওয়ার পর কেটে যায় দু’বছর। একদিন কেসিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন হেনরি। একটি রেস্তোরাঁয় তারা খাবার খাচ্ছিলেন। তখন সেখানে বাজছিল কেসির প্রিয় একটি গান। এমন সময় ওই প্রস্তাব দেন হেনরি। তার প্রস্তাবে অভিভূত হয়ে পড়েন কেসি। তারপর এবার গ্রীষ্মে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
কেসি বলেছেন, আমরা একজন ঠিক যেন আরেকজনের জন্য বেঁচে আছি। আমাদের বোঝাপড়া চমৎকার। আমরা একজন অন্যজনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করি। একসঙ্গে অনেক মজা করি। সবকিছু যেন এক এডভেঞ্চার। হেনরি বলেছেন, এমন অসম বিয়েতে তিনি উৎসাহী হয়েছেন ‘দ্য সিক্রেট’ নামের একটি বই পড়ে। সেখানে জীবন কিভাবে পরিবর্তিত হয় তা বলা আছে।
৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ