বিনোদন ডেস্ক : পাকিস্তানি শিল্পীদের পাশে দাঁড়ালেন এবার সালমান খান। তিনি বললেন, ‘উরিতে যারা হামলা চালিয়েছিল, তারা সন্ত্রাসবাদী। কিন্তু পাকিস্তানের শিল্পীরা সন্ত্রাসবাদী নন। ভারত সরকারের দেওয়া ভিসা নিয়ে তারা এদেশে আসেন।’ এদিকে শিবসেনার কটাক্ষ, এসব কথা বলার আগে বাবা সেলিম খানের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত সালমানের।
গত বুধবার রাতে ভারতীয় সেনা ‘সার্জিকাল’ হানা চালায়। এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার প্রডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দুই দেশের সম্পর্ক ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এদেশে পাক অভিনেতারা কাজ করতে পারবেন না। তার পরেই পাকিস্তানি শিল্পীদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন সালমান।
সালমান খান বললেন, ভারতীয় সেনা ‘সার্জিকাল’ হানা চালিয়ে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে শিল্পীদের গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।
এর আগে পাক শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক করন জোহর। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা সৃজনশীল কাজ করি। তাই আমাদের একটু একা ছাড়ুন। আমরা ছবির মাধ্যমে সম্প্রীতি, ভালবাসার প্রচার করি।’ উল্লেখ, তাঁর পরিচালিত ‘এ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে অভিনয় করেছেন পাকিস্তানের ফাওয়াদ খান। শাহরুখের বিপরীতে রইস ছবিতে অভিনয় করছেন পাক অভিনেত্রী মাহিরা খান। এই দুটি ছবিই মহারাষ্ট্র নব নির্মান সেনার রোষে।
এদিকে সার্জিক্যাল অ্যাটাকে ভারতের সাফল্যের পর দেশের সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসায় মেতে উঠেছে গোটা বলিউড। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার, সোনাক্ষী সিনহা, বরুণ ধাওয়ান, সিদ্ধার্থ মালহোত্রার মতো বলি তারকারা টুইট করে সেনাবাহিনীর এই সাফল্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কিন্তু সব বলিউড তারকারা যখন দেশের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন, দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করছেন, ঠিক তখনই আবার উল্টো স্রোতে হাঁটলেন অভিনেতা সালমান খান। আইএমপিপিএ-এর তরফ থেকে পাক শিল্পীদের ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে সেই প্রসঙ্গে সালমান বলেন, “পাকিস্তানি শিল্পীরা জঙ্গি নন। তারা শিল্পী। সেই জন্যই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাদের এদেশে আসার ভিসা মঞ্জুর করা হয়েছে। তারা জঙ্গি হলে এমনটা হত না।”
০১ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি