বিনোদন ডেস্ক : পুজো শেষ বলে মন খারাপ? তাতে কী হয়েছে, পার্টি অভি বাকি হ্যায়! দিলখুশ করার উপায় জমজমাট হাউসপার্টি
প্রস্তুতি-পর্ব
পার্টিতে কতজন আসবেন, তার আন্দাজ পেয়ে গেলে প্রস্তুতি শুরু করুন। ঘর অগোছালো থাকলে একটু গুছিয়ে নিন। একদম পরিপাটি করে না গোছাতে পারলে স্টোরেজের জায়গায় জিনিসপত্র ঢুকিয়ে ফেলুন। বসার ঘরের কিছুটা অংশ খালি করে মাটিতেই বসার ব্যবস্থা করুন। ফ্লোর কুশন, ডোরি, বিন ব্যাগ ইত্যাদি জড়ো করে সাজিয়ে দিন। এক কোণে কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্ট আর ফুল সাজাতে পারেন। ঘর সাজানোর এর চেয়ে সহজ এবং চটজলদি উপায় আর নেই। চাইলে কিছু সেন্টেড ক্যান্ডেলও জ্বালাতে পারেন। বড় আলোর চেয়ে মুড লাইটে পার্টি জমে ভাল। টি-লাইট সাজিয়ে বা টুনি বাল্ব ওয়াইনের বোতলে ভরে নরম আলোর ব্যবস্থা করুন।
পেট-পুজো
পার্টিতে সবচেয়ে জরুরি হল খাওয়াদাওয়া। পুজোর ধকলের পরেই রান্না করে লোক খাওয়ানোর আয়োজন কেউই করতে চাইবেন না। তাই খাবার অর্ডার করে দেওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে সকলের মধ্যে একটু দায়িত্ব ভাগ করে দিতে পারেন। পুজোর ক’দিন নানা রকম খাওয়াদাওয়া চলে। তাই খুব ভারী খাবার না এনে ড্রাই ফুড আনা ভাল। কাবাব বা তন্দুরির মতো খাবার আনাতে পারেন। স্ন্যাক্সের জন্য চিপ্স, চানাচুর, প্যাটি বা কিশ বন্ধুদের নিয়ে আসতে বলতে পারেন। পুজোর পর বাড়িতে নিশ্চয়ই ডেজার্টের অভাব হবে না! প্রচুর মিষ্টি জমে থাকবে রেফ্রিজারেটরে। তবে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে না করলে কয়েকটা আইসক্রিমের টাব আনিয়ে রাখতে পারেন। পানীয়ের দিকে নজর না দিলে কিন্তু কোনও পার্টিই জমবে না। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ‘ব্রিং ইওর ওন বুজ’ পার্টি করেন। যে যেমন পানীয় পছন্দ করেন, নিজের দায়িত্বেই নিয়ে আসবেন। আপনাকে বেশি ঝক্কি সামলাতে হবে না। আবার কোনও একজনের পকেটে বেশি টানও পড়বে না! তবে হাতের কাছে সোডা, সফ্ট ড্রিঙ্ক, বরফ, লাইম কর্ডিয়াল বা অন্য কোনও মিক্সার রাখবেন। কিছু ফলও রাখতে পারেন। কেউ ককটেল খেতে চাইলে যাতে ঝটপট আয়োজন করে ফেলা যায়। অন্য কোনও স্ন্যাক্সের আয়োজন না করতে পারলে চিজ ছোট ছোট ব্লক করে কেটে তৈরি রাখুন। ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কিট আর পেঁয়াজকুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে পারেন। ফ্যান্সি কাটলারি ব্যবহার করবেন না। পেপার প্লেট, প্লাস্টিক গ্লাস, পেপার ন্যাপকিন দিয়েই কাজ চালিয়ে নিন। তাহলে পার্টির শেষে আপনার পরিশ্রমও কম হবে। -এবেলা।
১২ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম