বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:৩০:১৯

এই অভিনেতার সংগ্রহে রয়েছে ৩৬৯টি গাড়ি, এবার কিনতে চান মারুতি ৮০০

এই অভিনেতার সংগ্রহে রয়েছে ৩৬৯টি গাড়ি, এবার কিনতে চান মারুতি ৮০০

বিনোদন ডেস্ক : মালায়লম ছবির অন্যতম জনপ্রিয় হিরো মামুট্টি। কিন্তু অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন নামজাদা গাড়ি-প্রেমীও। অভিনয় শুরু করার পর থেকেই তাঁর শখ হল বিভিন্ন দেশের নামী-দামি গাড়ি সংগ্রহ করা। এই শখের বশে তাঁর গ্যারাজে বর্তমানে গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯টি।

কোন গাড়ি নেই মামুট্টির গ্যারাজে! ই৪৬ বিএমডব্লিউ এম ৩ হোক, কিংবা জ্যাগুয়ার এক্সজে, অথবা টয়্যোটা ল্যান্ড ক্রুজার— সবই রয়েছে মামুট্টির কাছে। গাড়ির নাম যেমন দুনিয়াকাঁপানো, দামও তেমনই। মামুট্টির গ্যারাজে শোভা পাচ্ছে যে সাদা অডি ৭ গাড়িটি তার দাম ৮৬ লক্ষ টাকা। আর জ্যাগুয়ার গাড়িটির দাম ৯৫ লক্ষ টাকা।

১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে মামুট্টি কিনেছেন টয়্যোটা ল্যান্ড ক্রুজারটি। নিজের ছেলের জন্য গাড়ি কেনার সময়েও কোনও কার্পণ্য করেননি এই মালায়লাম সুপারস্টার। মিনি কুপার এস কিনে দিয়েছেন ছেলেকে, যার দাম ৩২ লাখ টাকার কাছাকাছি। নিজের কেনার গাড়ির সংখ্যার সঙ্গে মিল রেখে নিজের পোর্শে গাড়ির নম্বরও রেখেছেন কে এল ৭ সিজি ৩৬৯। কিছুদিন আগে মোটর ভেহিকলস ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত একটি নম্বর নিলাম অনুষ্ঠানে দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে ৩৬৯ নম্বরটি কেনেন মামুট্টি।

বিপুল সংখ্যক গাড়ির মালিক মানুষটিই এবার কিনতে চান একটি মারুতি ৮০০। হঠাৎ করে এই সামান্য গাড়িটির দিকে হাত বাড়ালেন কেন মামুট্টি? আসলে মারুতি ৮০০-র যে মডেলটি কিনতে চাইছেন তিনি, সেটি ভারতের প্রথম মারুতি ৮০০।

১৯৮৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর একটি লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে এই গাড়ির চাবি পান ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের প্রাক্তন কর্মী হরপাল সিংহ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধি হরপালের হাতে তুলে দিয়েছিলেন গাড়িটির চাবি। তারপর ৩৩ বছর কেটে গেলেও হরপালের যত্নে গাড়িটি রয়েছে প্রায় নতুনের মতোই। কিন্তু বছর দু’য়েক আগে দিল্লি নিবাসী হরপালের স্ত্রীয়ের মৃত্যুর পর থেকে তাঁদের গ্রীন পার্কের বাড়ির সামনে গাড়িটি অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। এবার সেই গাড়িই কিনতে আগ্রহী হয়েছেন মামুট্টি।

মামুট্টির বক্তব্য, ‘মারুতি ৮০০ তো নিছক গাড়ি নয়, বরং এ হল সাধারণ মানুষের জন্য চার চাকার বিপ্লব। সেই গাড়ির প্রথম মডেলটির একটা ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই কারণেই গাড়িটিকে আমার সংগ্রহে রাখতে চাই আমি।’

সমস্যা হল, মারুতি কোম্পানিও তাদের সংগ্রহশালার জন্য চাইছে গাড়িটি। মামুট্টি জানেন সেই কথা।

‘আমি মারুতি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি যে, তাঁরা যেন আমাকে গাড়িটি কেনার ‌অনুমতি দেন। এবার দেখা যাক, কী হয়’, বলছেন ৩৬৯টি গাড়ির মালিক। -এবেলা।
১৩ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে