মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী : জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পরিপূর্ণ ঈমান আনায়ন করেছেন। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যপারে তিনি তার স্ট্যাটাসে লিখেন, আমি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পরিপূর্ণ ঈমান আনা একজন মানুষ। আমার বহু কাজের সঙী ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এনএফডিসি। ভারতের নিউ ওয়েভের আমি সমর্থক এবং বন্ধু। আমার কাজেরও তারা সমর্থক এবং বন্ধু। আমরা নানা ভাবেই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এই সম্পর্ক এবং সহযোগিতা সামনে আরো বাড়বে।
এমটিনিউজ২৪ এর পাঠকদের জন্য ফারুকীর স্ট্যাটাসটি হুবহুব তুলেধরা হলো :
টিভি স্ক্রলে দেখাচ্ছে "দুই দেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নে যৌথ ভাবে কাজ করতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ টাস্কফোর্স গঠিত"! কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো :
(১) উন্নয়নটা কার দরকার? ভারতের না বাংলাদেশের? শিরোনাম দেখে মনে হচ্ছে দুই দেশেরই উন্নয়ন দরকার। ভারতের চলচ্চিত্র উন্নয়নে বাংলাদেশের সাহায্য দরকার এটা একটা নতুন জ্ঞান বটে।
(২) আর যদি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উন্নয়নের দায়িত্ব বলিউড নিয়ে থাকে সেটাও পৃথিবীর ইতিহাসে এক নতুন জ্ঞানই বটে। কখনো শুনি নাই এক দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়ন আরেক দেশের পক্ষে ঘটানো সম্ভব।
আমি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পরিপূর্ণ ঈমান আনা একজন মানুষ। আমার বহু কাজের সঙী ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান এনএফডিসি। ভারতের নিউ ওয়েভের আমি সমর্থক এবং বন্ধু। আমার কাজেরও তারা সমর্থক এবং বন্ধু। আমরা নানা ভাবেই একে অপরের সঙ্গে জড়িত। এই সম্পর্ক এবং সহযোগিতা সামনে আরো বাড়বে।
কিন্তু যখনই এইসব "চলচ্চিত্র উন্নয়ন মার্কা" ছেলে ভোলানো কথা বলা হয় তখনই রাগ ধরে। আরে ভাই ভারতের ছবি বাংলাদেশে ঢোকাতে চান, সেটাতে সমস্যা তো নাই। আগে আমাদের জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালাটা হতে দেন। সেখানে নীতি ঠিক হোক কত শতাংশ আমদানি করা যাবে, স্থানীয় ছবি কত শতাংশ দেখাতে হবে, বিদেশী ছবির উপর কর কত শতাংশ হবে। কতবার বলবো ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তার তার প্রয়োজন মাফিক নীতিমালা আছে। যে কারনেই স্থানীয় ছবি কম কর দেয়, হিন্দী বেশী কর দেয়। কেবল করের ক্ষেত্রে না, নীতিমালা ছবির প্রদর্শন হার নির্ধারণের টুলও বটে। সেই নীতিমালা তাই আগে ঠিক হওয়া ফরজ।
কিছুদিন আগে আমরা অনেকেই নীতিমালার উপর মতামত দিয়ে এসেছিলাম। সেগুলো কি হলো এখনও জানি না। তো সেই নীতিমালা ঠিক হলে তো আর এইসব টাস্কফোর্স লাগছে না।
ভারতের বন্ধুদের বোঝার সময় এসেছে এই বিষয়টা যারা ডিল করছে, তারা চরম অপরিপক্কতা ও অস্থিরতার পরিচয় দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের তো নয়ই, ভারতেরও উপকার করবে না।
মনে রাখা প্রয়োজন, অস্থিরতা উইকেট পতনের কারণ।
(সংযুক্তি : আর টাস্কফোর্স যদি বানানো হয় এর বাইরের গুরুত্বপূর্ন কিছু কাজ করার জন্য, যেমন কার্যকর যৌথ প্রযোজনা বাড়ানো, তাহলে আমার প্রশ্ন আমরা কি এইরকম একটা টাস্কফোর্সে কাজ করার মতো যথাযথ জ্ঞানওয়ালা লোকজন আমাদের টিমে দেখবো? নতুন এই দুনিয়ার প্রযুক্তিগত, বানিজ্যিক এবং সৃজনশীল চ্যালেঞ্জগুলো মাথায় রেখে আমাদের হয়ে যথাযথ ভয়েস রেইজ করার লোক যদি না থাকে তাহলে আমাদের সামনে বিপদ আছে।)-ফেসবুক থেকে
৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে