বিনোদন ডেস্ক : জেল, মামলা -এর বাইরে যেন বের হতে পারছে না বলিউড। এবার জেলে যেতে হতে পারে গোবিন্দা, শিল্পা ও উদিত নারায়ণদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা বিহারকে অপমান করেছেন।
বলিউডে শেষ কোন ছবিতে শিল্পা, গোবিন্দাকে দেখা গিয়েছে তা মাথাতে হাত রেখে সকলকে ভাবতে হবে। এমনকী, উদিত নারায়ণ কবে শেষ প্লে ব্যাক করেছেন তাও চট করে খেয়ালে আনা মুশকিল। রানি মালিককে শেষ কবে সিনেমায় সুর দিতে দেখা গিয়েছে তা কেউই বলতে পারবেন না। অথচ, গোবিন্দা, শিল্পা থেকে শুরু করে উদিত নারায়ণ, অলকা ইয়াগনিক, রানি মালিক সকলেই এখন জেলে ঢোকার সামনে। কারণ, প্রায় দু’দশক আগে ১৯৯৬ সালে দেশজুড়ে জনপ্রিয় হওয়া এক গানকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে এঁদের সামনে জেলে যাওয়ার ভ্রুকূটি।
১৯৯৬ সালে গোবিন্দা, শিল্পা শেঠি অভিনীত ‘ছোটে সরকার’ বলে একটি ছবিতে ‘এক চুমা তু উধার দেই দে, বদলমে সারা বিহার লেলে’ বলে একটি গান ছিল। যে গানে গলা দিয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিক, উদিত নারায়ণ। গানটির সুরকার ছিলেন রানি মালিক। গানটি লিখেছিলেন আনন্দ-মিলন্দ। সিনেমার পরিচালক ছিলেন বিমল কুমার।
এই গানটিতে ‘বিহার’ শব্দটি এমনভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তাতে বিহারিদের ভাবাবেগ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে পাকুর আদালতে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী এম এম তিওয়ারি। এরপর এই মামলায় হাজির হওয়ার জন্য বহুবার সমন পাঠানো হলেও অভিযুক্তরা কেউই আদালতে হাজির হননি।
২০০১ সালে একবার জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়াণাও জারি হয়। কিন্তু, গোবিন্দা, শিল্পারা কেউই আদালতে হাজির হননি। মুম্বই পুলিশ কমিশনারেট থেকে বহুবার এই বলিউড তারকাদের আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তাকেও গোবিন্দা, শিল্পা, উদিত নারায়ণ, অলকা ইয়াগনিকরা কেউ পাত্তা দেননি বলে অভিযোগ।
এই গোটা ঘটনাকেই আদালত অবমাননা বলে গণ্য করে গত জুলাই মাসে ফের জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়াণা জারি করা হয়েছে। কিন্তু, এবারও নাকি আদালতে পেশ হওয়ার কোনও হেলদোল দেখা যায়নি এইসব তারকাদের মধ্যে। তাই, এবার আদালত কড়া নির্দেশ দিয়েছে, যেখানেই থাকুন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এবার আগে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হবে এবং জেলে ঢুকতে হবে। তারপরে শুরু হবে মূল মামলার শুনানি। যদিও, গোবিন্দা, শিল্পা, উদিতনারায়ণ, অলকা ইয়াগনিকদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। -এবেলা।
১৭, অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস