বিনোদন ডেস্ক: দেশব্যাপী আলোচনায় অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আয়নাবাজি’। ভার্সিটি-চায়ের দোকান কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় প্রধান বিষয়বস্তু এখন ‘আয়নাবাজি’। অর্থাৎ চারদিকে এখন আয়নাবাজি’র জয়জয়কার। দেশের ৪৪টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে সিনেমাটি।
‘আয়নাবাজি এতো ভালো চলছে তার পিছনে জাজের সামান্য হলেও অবদান আছে।’ এমনটাই দাবী করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।
জাজ তার ফেসবুক পাতায় লিখেছে, ‘আয়নাবাজি যেন পাইরেসি না হতে পারে, প্রথম থেকেই জাজ সজাগ ছিল। আয়নাবাজির প্রযোজক শাওন ভাইকে আমরা বারবার বলেছিলাম, জাজের সার্ভারের বাহিরে সিনেমা রিলিজ না দেয়। উনি শুনেছিলেন আমাদের কথা। কিন্তু তারপরও একটা হলে পেন ড্রাইভে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। আমাদের কাছে খবরটা আসার পর, আমারা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে, তা বন্ধ করি। তাই, এখন পর্যন্ত আয়নাবাজি জাজের সার্ভারের বাহিরে কোথাও মুক্তি পায়নি। তাই আয়নাবাজি পাইরেসি হতে পারে নাই এবং আপনাদের আরো নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, যতদিন আয়নাবাজি জাজের সার্ভারের অধীনে থাকবে, ততদিন পাইরেসি হবে না।’
জাজের দাবী, ‘পাইরেসি রুখে দিতে পেরেছে জাজ, এখানেই আমাদের সফলতা। তাই দর্শককে আয়নাবাজি দেখতে হলে অবশ্যই হল এ গিয়ে দেখতে হবে। যদি আয়নাবাজি পাইরেসি হয়ে যেত! তাহলে কি আজ এই সেল থাকত? থাকত না। অনেকেই অনলাইনে বা ইউটিউব এ দেখে নিত।’
এ বিষয়ে আয়নাবাজি নির্মাতা অমিতাভ রেজা বলেন, ‘জাজ বাংলাদেশের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ‘এক্সিবিশন চ্যানেল’। জাজের প্রজেক্টর ছাড়া অসম্ভব ছিল পাইরেসি বন্ধ করা। ভালো সিনেমার জন্য ভালো প্রদর্শক জরুরি।
সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করছেন নাবিলা। গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্রে অভিনয় করছেন ইফফাত তৃষা। বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করছেন পার্থ বড়ুয়া। আরও রয়েছেন- গাউসুল আলম শাওন, এজাজ, সোহেলসহ অনেকে।
কনটেন্ট ম্যাটারস লিমিটেড প্রযোজিত ও হাফ স্টপ ডাউন লিমিটেডের নির্মিতব্য ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন গাউসুল আলম শাওন। সংলাপ লিখেছেন অনম বিশ্বাস ও আদনান আদীব খান। চিত্রগ্রহণে রয়েছেন রাশেদ জামান।
১৮ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর