রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬, ০১:১৭:৫১

লাভের মুখ দেখছে ‘আয়নাবাজি’?

লাভের মুখ দেখছে ‘আয়নাবাজি’?

বিনোদন ডেস্ক: যোগ বিয়োগে ‘আয়নাবাজি’ এবার নতুন আশার কথা শোনাল। কী সেই আশা? না, সেটা শুধু প্রশংসা কিংবা পিঠ চাপড়ানো বাহবা নয়।

এর আগেও এমন অনেক আলোচিত ছবি মুক্তি পেয়েছিল, যা শুধু প্রশংসায় সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তবে লম্বা বিরতি ভেঙে অমিতাভ রেজার ছবি ‘আয়নাবাজি’ জিতে গেছে নতুন বাজি, দেখিয়েছে নতুন আশা।

‘অবাণিজ্যিক’ ছবি কিংবা বড় পর্দার ‘নাটকের’ লেবাসে কাকরাইল সিনেমা পাড়ায় এন্ট্রি বলেছেন অনেকে! অথচ বাণিজ্যিক ধারাতে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৩০ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি। অন্তত প্রথম দুই সপ্তাহের ‘হাউজফুল’ তকমা আর তৃতীয় সপ্তাহে এসে হিসাবের খেরোখাতা তাই জানান দিচ্ছে। ছবিটি এখন ঢুকে

কাকরাইলের অলিখিত বক্সঅফিস থেকে  ইতোমধ্যে ‘আয়নাবাজি’র ড্রয়ারে জমা পড়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। যা মাত্র দুই সপ্তাহের আয়ের হিসাবেও ভিন্ন এক নজির। কাকরাইল সিনেমা পাড়া সূত্রে এমন তথ্য মিলেছে।

অপর দিকে ছবির প্রযোজনা সূত্রে জানা গেল, এটি নির্মাণে তাদের খরচ হয়েছে দেড় কোটির একটু বেশি।
তাহলে যোগ-বিয়োগে যা দাঁড়াচ্ছে তাতে সুবাতাসই পাওয়া যায়।

ছবিটি নিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতা মিঞা আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত যা দেখেছি বা শুনছি, তাতে বলা যায় ছবিটি খুবই ভালো করছে। সব পক্ষ থেকে বেশ প্রশংসাও পাচ্ছে।’

কনটেন্ট ম্যাটার্সের প্রযোজনার এ ছবিটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ছবিটি প্রথম সপ্তাহে ২১টি ও পরের সপ্তাহে ২৩ প্রেক্ষাগৃহে চলেছে। তবে এখানে বেশ কিছু মাল্টিপ্লেক্সে দিনে ৮-১৪টি করে প্রদর্শনী চলছে শুরু থেকেই। ফলে হলের সংখ্যা ২০ এর ঘরে থাকলেও আদতে তা ৩৫টির মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির মতোই।

সূত্রটি আরও জানায়, দুই সপ্তাহ শেষে প্রেক্ষাগৃহ থেকে তাদের আয় ২ কোটি টাকার উপরে। এরসঙ্গে টেলিভিশন প্রচারের জন্য আরটিভি আর মুঠোফোনের জন্য রবি টিভি থেকেও ‘আয়নাবাজি’র প্রাপ্তি রয়েছে মোটা অংকের।

‘আয়নাবাজি’ সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রত্যেক ছবি বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে বিপণন হয়ে থাকে। তাদের কাছে সপ্তাহ শেষে হিসাব পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী দুই সপ্তাহ শেষে আমাদের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে তাতে আমরা বেশ খুশি। কারণ, ছবির লগ্নিকৃত অর্থ এরমধ্যেই হাতে এসেছে আমাদের। চলতি সপ্তাহ শেষে আমরা লাভের অংকে চলে যাচ্ছি, যা বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য একটি সুখের খবরই বলা যায়।’
আয়নাবাজি’তে নাবিলা-চঞ্চল।

এদিকে, চলতি সপ্তাহে ছবিটির প্রেক্ষাগৃহ সংখ্যা তিন গুনেরও বেশি দাঁড়িয়েছে। মোট ৭২টি হলে এটি এখন চলছে। তাই কর্মকর্তারা আরও বেশি আশাবাদী ছবিটির ব্যবসা নিয়ে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ (২০০৯ সাল) সেরা ব্যবসাসফল ছবি গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’র আয় ধারণা করা হয় ৬ কোটি টাকার বেশি। সেটি তুলতে সময় লেগেছে প্রায় তিন বছর। সেদিক দিয়ে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘আয়নাবাজি’ ব্যবসার বিচারে বেশ দ্রুততাই দেখাচ্ছে। কাকতাল হলেও সত্যি, দুটি ছবির প্রধান চরিত্রেই আছেন টিভি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এবং দুটি ছবিই দুই পরিচালকের প্রথম নির্মাণ। -বাংলাট্রিবিউন
২৩ অক্টোবর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে