শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪১:৪২

চবিতে অপমানিত হলো জলের গান!

চবিতে অপমানিত হলো জলের গান!

বিনোদন ডেস্ক : জলের গান। ইতিমধ্যে যারা নিজেদের ভিন্ন ঘরাণার একটি ব্যান্ডদল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। যাদের গান, সুর আর বাদ্যযন্ত্রে পাওয়া যায় মাটি ও মানুষের গন্ধ। তারুণ্যের কাছেও প্রিয় একটি নাম, ‘জলের গান’।

১০ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় এই ব্যন্ডদলটি গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট করতে। কিন্তু সেটি মোটেও তাদের জন্য শুভকর ছিলো না। তাদের সেখান থেকে ফিরতে হলো অপমানিত হয়ে। দুঃখ আর কষ্ট নিয়ে।

জানা যায়, ‘জলের গানের হাতিগুলারে কী খাওয়াইছ?’ এমন কথা বললেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় এক নেতা। আর এতে অপমানিত হয়ে কনসার্ট না করেই ঢাকা চলে আসেন বর্তমান সময়ের সাড়া জাগানো ব্যান্ডদল ‘জলের গান।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালায় এরকম ঘটনা ঘটে। সেসময় জলের গানের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা ঢাকায় চলে আসতে চাইলে সেই নেতারা তাদের সাউন্ড সিস্টেমও আটকে রাখে। কনসার্ট বাতিলের ক্ষতিপূরণ না দিলে সেগুলো ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়া হয় তাদের।

এঘটনার পর তারা তাদের ফেসবুক ফ্যান পেজে লিখেন, ‘অতিথিশালায় অবস্থানরত সদস্যরা জানায় জলেরগানকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য ("জলের গানের হাতিগুলারে কী খাওয়াইছ") করেছেন সংগঠনের নেতৃস্থানীয় একজন। যিনি ঢাকা থেকে গিয়েছিলেন। এমনকি রসিকতা করতে পারেন তেমন সম্পর্কও তাঁর সাথে আমাদের ছিলোনা। সংগত কারনেই নাম উল্লেখ করছিনা। (সেখানে উপস্থিত অন্যান্য কেউ প্রতিবাদও করেননি। শুধুমাত্র বলেছেন এখানে জলের গানের লোক আছেন।) এমন মন্তব্য আমাদের আত্মমর্যাদায়, আত্মাভিমানে চরম আঘাত হানে।’

জলের গানের পেজে তারা আরও লিখেন ‘এমন ব্যবহারে আমাদের মন ভেঙে যায়। প্রচন্ড অভিমান ভর করে। এমন মানসিক অবস্থায় গান গাওয়া সমীচীন মনে করিনি। আমরা গাড়ীতে উঠে বসি চলে যাওয়ার জন্য। ছাত্রছাত্রীরা আমাদের ঘিরে অনুরোধ করতে থাকে, অনর্গল কাঁদতে থাকে। আমদের ভেতরটাও কাঁপতে থাকে বোবাকান্নায়। একদিকে আত্মসম্মানবোধ আরেক দিকে দাঁড়িয়ে আছে ভালোবাসার কান্নায় ভেজা মুখগুলো। বলি ক'দিন পর না হয় আবার আসব এবার আমাদের ক্ষমা করেন। ছুটে চলি শহরের দিকে। পেছনে ফেলে যাই অনেক অনেক ভালোবাসা।’
১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে