রিমন মাহফুজ, টোকিও থেকে: টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি প্রেসিডেন্ট জিয়ান-জ্যাকুয়েস বেইনিক্স অন্য জুরি সদস্যদের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে বলেছেন, ‘একসঙ্গে আমাদের চমৎকার একটি সপ্তাহ কেটেছে। একসঙ্গে অনেক দারুণ ছবি দেখলাম। যদিও আশা করেছিলাম এমনটা হবে, তবু আমাদেরকে এ অসাধারণ বিষয়টা বিস্মিত করেছে। আমরা সবাই বন্ধুদের মতো ছিলাম। এরপর সবার নিজ নিজ জায়গায় চলে যাওয়াটা হবে আসলেই বেশ কষ্টের।’
উৎসব নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মাবেল চিয়াং এ সময় বলেন, ‘আমরা তিন থেকে চার ঘণ্টা বিজয়ীদের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। মনে ভিন্নতা থাকলেও তা ওভারকাম করেছি। আসলে, এখানে এমন অনেক চলচ্চিত্র ছিল, যেগুলোর আসলেই প্রশংসা করতে হয়। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি নিয়ে তৈরি সব ছবি।’
ভ্যালেরিও মাস্তেনদ্রিয়া বলেন, ‘উৎসবে চলচ্চিত্র দেখা বিষয়টি আমাকে উচ্চতর আসনে আসীন করেছে। বিশেষ করে অভিনেতা হিসেবে আমার ক্যারিয়ারে এটা অসাধারণ ভূমিকা রাখবে। আমরা বিভিন্ন ছবি দেখেছি। প্রত্যেকবারই মনে হয়েছে, আমি সেরা ছবিটা দেখছি। মনে হয়েছে, সব ছবির ভাষা একই। কিন্তু, সংস্কৃতি, কাহিনি ও স্থান আলাদা।’
নিকোল রকলিন মন্তব্য করেন, ‘এই দেড় সপ্তাহ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। এরপর নিজের মধ্যে নতুন মেধার সঞ্চার হয়েছে। এসব মেধাবী চলচ্চিত্রকারের ব্যাপারে জানতে আমাকে প্রচুর হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে। অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এত মেধাবীদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করতে আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। অসাধারণ নারী চলচ্চিত্রকার, মেধাবী অভিনেত্রীদের ব্যাপারে বিশেষভাবে বলতে হয়। কিছু পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী প্রথমবারই এমন অসাধারণ ছবি করেছে, ভাবাই কঠিন।’
হিদেয়োকি হিরায়ামা স্বীকার করেন, ‘জীবনে যখন থেকে সিনেমা দেখা শুরু করেছি, তখন থেকে এক বছরে এত ছবি আমি দেখিনি। সারাবিশে^র বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সব ছবি দেখার সুযোগ হলো। এতে আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সম্ভবত অন্য কোনো কিছু থেকে এমন অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব নয়।’
৪ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস