শুক্রবার, ০৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৩০:০৯

‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাঁদলেন মিতালী মুখার্জি

‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাঁদলেন মিতালী মুখার্জি

বিনোদন ডেস্ক : মেয়েটির জন্ম ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজারে।  সেখানেই কেটেছে শৈশব।  ভারতে পড়তে গিয়ে বিয়ে হয় পাঞ্জাবি ছেলের সঙ্গে।  বিয়ের পর ঠিকানা হয় শ্বশুরবাড়ি।  ঠিকানা বদল হলেও বাপের বাড়ির প্রতি ভালোবাসা কমেনি তার।  সে কথা মনে করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাঁদলেন তিনি।

মেয়েটির নাম মিতালী মুখার্জি।  'যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে' গানে আশির দশকে মেতেছিল বাংলাদেশ।  ৩০ বছর আগে দেশ ছাড়লেও বাংলাদেশ ভুলেনি তার সন্তান মিতালীকে।  সিটিব্যাংক 'গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা' দিয়েছে দেশের মেয়ে মিতালী মুখার্জিকে।  

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।  

উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ, সৈয়দ আবদুল হাদী, চিত্রনির্মাতা আমজাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কান্ট্রি অফিসার রাশেদ মাকসুদসহ সিটিব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  ২০০৪ সাল থেকেই নিয়মতিভাবে গুণী সঙ্গীতশিল্পীদের সংবর্ধনা দিয়ে আসছে সিটিব্যাংক এনএ।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেন অনুজ মিতালী মুখার্জির শিল্পী হয়ে ওঠার দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন।  স্পিকারের হাত থেকে সংবর্ধনা পদক নেয়ার পর মিতালী সংক্ষিপ্ত কথায় অনুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর গানে গানে কেটে যায় পুরো সন্ধ্যা।  গানের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলেন মিতালী।
 
তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানের ভিডিও শ্বশুরবাড়ির লোকদের দেখাব।  তারা বুঝবেন বাপের বাড়ির মানুষরা আমাকে কত যে ভালোবাসেন।  বিয়ের পরও আমাকে পর করে দেননি।'  

নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিতালী মুখার্জি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাংলাদেশে এলে সবাই জিজ্ঞাসা করে, 'তুমি চইল্যা গেলা ক্যান?' এটাই আমার বড় অর্জন।  আমার বাবা অমূল্য মুখার্জি মৃত্যুর সময় আমার শ্বশুরবাড়ি মুম্বাইয়ে ছিলেন।  তার শেষ ইচ্ছার কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম।  তিনি শুধু বলেছিলেন, আমারে ময়েনসিংয়ের মাটিতে নিয়া চল।
 
মিতালীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারই জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করেন শিল্পী দিলদাম নাহার কণা।  
 
এরপর আবারো মঞ্চে আসেন মিতালী।  দর্শক সারি থেকে অনুরোধ আসে, 'যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে' গানটি গাওয়ার জন্য।  দর্শকদের অনুরোধে গানটি ধরেন।  খোদ স্পিকারও তাতে যোগ দেন।  গানের মাঝেই মিতালী বলে ওঠেন, 'শ্বশুরবাড়ির মানুষরা দেখুক, আমার বাপের দেশের মানুষেরা শুধু কাজ করে না, গানও গাইতে জানে।'  এরপর একে একে আঞ্চলিক ভাষার গান গেয়ে শোনান মিতালী।
৯ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে