বিনোদন ডেস্ক : সিটি ব্যাংক এনএ আয়োজিত ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে এবার সম্মাননা দেওয়া হয় বাংলাদেশ ও ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিতালী মুখার্জিকে। সম্মাননা নিতে মুম্বাই থেকে ঢাকা আসেন মিতালী।
অনুষ্ঠানে গানও পরিবেশন করেন। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা ছাড়েন তিনি। এর আগে গণমাধ্যমকে বলেন, গান গাইছি অনেক বছর, পেয়েছিও অনেক কিছু। কিন্তু এবার যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি একদিকে উৎসাহিত ও আনন্দিত। অন্যদিকে আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। বাবার কথা খুব মনে হচ্ছিল। যে সম্মাননা আমাকে দেওয়া হয়েছে, এতে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন আমার মা–বাবা। তাঁরা তো কেউ বেঁচে নেই।
এদেশে আমি যে খুব বেশি গান করেছি, তা নয়। তারপরও প্রতিটি গান মানুষ মনে করে। এই প্রজন্ম আমার গান শোনে। ভাবলেই অন্য রকম লাগে। আমি কিন্তু বঞ্চিত করিনি। আমি যাঁদের কথা ও সুরে গান গেয়েছি, তাঁরা কিন্তু এখনো গানের সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান বা কেউ কি ব্যক্তি উদ্যোগে আমার গান প্রকাশের কথা ভেবেছেন? প্রশ্নটা আমি রেখে গেলাম। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো পলিটিকস কাজ করেনি। ভারতে পড়াশোনা করতে গেলে সেখানে ভুপিন্দর সিংয়ের সঙ্গে আমার প্রেম হয়। তারপর আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। যে কারণে আমাকে ওখানে থেকে যেতে হয়।
৩৭ বছরের গানের পথচলাটা সম্পর্কে বলেন, আমার গানের পথচলাটা খুব মসৃণ ছিল। সবকিছুই খুব সহজে ধরা দিয়েছে। ভারতে বৃত্তি নিয়ে যাওয়ার পর অনেক কিছুই শিখেছি। অল্প সময়ে অনেক গুণী শিল্পীর সঙ্গে কাজের সুযোগ হয়েছে। বাপ্পি লাহিড়ী তো বলেই ফেলেছিলেন, এই প্রথম আমি একজন শিল্পীকে দেখলাম, যে গান শেষ হওয়ার পর কোনো খোঁজখবর নিল না। আমার বাবার কড়া নির্দেশ ছিল, কলেজ করবে, পড়াশোনা করবে আর গলা সাধবে। সব সময় তা মেনে চলতাম। এমনকি আমার চলচ্চিত্রে অভিনয়েরও প্রস্তাব ছিল।
হ্যাঁ। এক আড্ডায় গুলজার সাহেব তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি ‘না’ করে দিই। ছবিটিতে অভিনয় করেন শাবানা আজমী। সুরাজ রাজকুমার বারজাতিয়াও আমাকে তাঁর ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যে সুযোগ পাওয়ার জন্য মানুষ লাইন ধরে থাকে, তা আমার কাছে হেঁটে হেঁটে আসছে। আমি করিনি।
১১ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ