মাহতাব হোসেন: 'রাত সাড়ে এগারোটার মধ্যে বাসায় এসে হাজির আমার সবচেয়ে ক্লোজ ফ্রেন্ড হ্যাপি। ও আমার এতোই ভালো ফ্রেন্ড যে রাত বিরেতে বাসায় উপস্থিতিতে আমি রীতিমতো সারপ্রাইজড। সে কেক নিয়ে এসেছিল। হ্যাপির কেক দিয়ে আমার জন্মদিন পালন শুরু হলো। বিষয়টা আমার কাছে অনেক এক্সাইটমেন্টের ছিল'।
আজ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির জন্মদিন। জন্মদিনের দিনটি আসলে কেমন যায়? কিভাবে পালন করা হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথমেই সারপ্রাইজ হবার গল্পই শোনালেন। ন্যান্সি জন্মদিন কাটাচ্ছেন নিজের শহর ময়মনসিংহের বাসায়।
ন্যান্সি বলেন, 'আমি ভাবতে পারিনি হ্যাপি আমাকে চমকে দেবে। তাও আবার মধ্যরাতে। প্রচণ্ড পছন্দ করি ওকে। ' সারাদিন কেমন কাটলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদিন তো বাসাতেই ছিলাম, আত্মীয় স্বজনদের ঘরোয়া ভাবে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। আব্বু ও ছোট ভাই ঢাকায় থাকেন তারা বাড়িতে এসেছেন। বেশ আনন্দের সাথেই সময় কাটছে।
আর কি প্ল্যান আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যান্সি বলেন, এখন একটা রেস্টুরেন্টে পরিবারের সবাই মিলে খেতে যাব। আব্বু আম্মু, আমার হাজবেন্ড, সন্তান, ছোট ভাই, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্বশুরবাড়ির লোক। এই সবমিলিয়ে ৩০ জন মিলে। এটাই এখন পর্যন্ত বেশ আনন্দের মনে হচ্ছে। এই তো দ্রুত রেডি হলাম এখন বের হবো।
২০০৫ সালে ‘হৃয়ের কথা’ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়ে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয় ন্যান্সির। একই বছরে বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও অভিষেক হয় তাঁর। পরের বছরে ২০০৬ সালে ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ ছবির ‘পৃথিবীর যত সুখ যত ভালোবাসা’ গানটির মাধ্যমে রাতারাতি আলোচনায় আসেন ন্যান্সি। ২০০৯ সালে সংগীতা থেকে বের হয় ন্যান্সির প্রথম একক অ্যালবাম ভালোবাসা অধরা।-কালের কন্ঠ
১৪ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ