বিনোদন ডেস্ক : স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সম্পর্কে আমাদের বাংলাদেশের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই ভালো করে জানেন না। তারা মনে করে এটা আবার কি! এসব কিছু হইলো! যতসব ফালতু।
যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এমনটি ভাবেন, আমি তাদের কোনো অভিনেতাই মনে করি না। অভিনয়টা কি? তারা এখনো শিখেন নি।
সম্প্রতি একজন চিত্র নায়িকাকে বন্ধুত্বের খাতিরে বলছিলাম, আমার ‘একটি শর্টফিল্ম করে দাও’। সে ফিল্ম ভেবে বলল, ‘করবে’। যখন বললাম, ‘দু’দিন সময় দিলেই হবে। টাকা কিন্তু বেশি দিতে পারব না’। তখন সে বলল, ‘দু’দিন! এটা আবার কি ফিল্ম’? বললাম, ‘শর্টফিল্ম, ব্যাপ্তি বিশ মিনিট’। তখন সে ভ্র-কুঞ্চিত করে বলল, বিশ মিনিটে আবার ছবি হয় নাকি’?
একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা যে ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়। একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাও একই ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়। পার্থক্য শুধু ব্যাপ্তিটা। আর এখানেই একজন নির্মাতা, স্ক্রিপ্ট রাইটারের দক্ষতা। স্বল্প সময়ে একটি গল্প তুলে ধরাটা আর যাই হোক মন্দ কাজ নয়। নিঃসন্দেহে মুনশিয়ানা।
আমার কাছে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র থেকে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মূল্যায়নটা অনেক বেশি। তবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র যারা বুঝেন, দেখেন নিঃসন্দেহে এরা ক্রিয়েটিভ মানুষ। এরা ভাবতে পছন্দ করেন। এরা নতুনত্ব পছন্দ করেন।
কলকাতার নির্মাতা সুজয় ঘোষ। তিনি নির্মাণ করেছেন ‘অহল্যা’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যে ছবিটি দেখে অমিতাভ বচ্চন নিজই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন, এমন ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেলে তিনি করবেন।
অথচ, আমাদের দেশের পুরনো হোক আর নতুন হোক। কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রীকে যদি অনুরোধও করা হয়-তারা সরাসরিই না বলে দেন। তাদের কাছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র কোনো চলচ্চিত্র না!
যারা এমনটি ভাবছেন। এমনটি করছেন। তারা হয় তো নেচে গেয়ে, কারো বিছানা গরম করে ক্ষণিকের জন্য নাম কামাতে পারবেন। টাকা রোজগার করতে পারবেন। কিন্তু কখনোই এরা অভিনেতা-অভিনেত্রী হতে পারবে না। শৈল্পিকতা যাদের মাঝে না থাকে, তারা আর যাই হোক, শিল্পী হতে পারে না। লেখকঃ সীমান্ত প্রধান
১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন