শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০৯:১৬

বেঁচে ফিরে বুঝলাম, গাড়িতে সিটবেল্ট বাঁধা কেন এত জরুরি

বেঁচে ফিরে বুঝলাম, গাড়িতে সিটবেল্ট বাঁধা কেন এত জরুরি

বিনোদন ডেস্ক : বুধবার রাতের দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তটা কিছুতেই সরাতে পারছি না মন থেকে! দু’চোখের পাতা এক করলেই ঘিরে ধরছে অস্বস্তির একটা অনুভূতি। চলতে ফিরতে স্বাভাবিক ছন্দটা কেটে যাচ্ছে বারবার।

সেদিন সন্ধ্যায় একটা কাজে ভারতের হাইল্যান্ড পার্ক এলাকায় গিয়েছিলাম। রানাদাও (অভিনেতা শুভাশিস মিত্র) ছিলেন ওখানে। রানাদার বাড়ি নিউ আলিপুর। মিটিংয়ের শেষে রানাদাই আমাকে ওঁর গাড়িতে উঠতে বললেন। ঠিক হল, আমাকে রবীন্দ্র সরোবরের ফ্ল্যাটে নামিয়ে উনি ফিরবেন। রাত ১১টা নাগাদ আমরা হাইল্যান্ড পার্ক থেকে রওনা দিই। রাস্তা ফাঁকা থাকায় গাড়ির গতি একটু বেশিই ছিল। রানাদাই চালাচ্ছিলেন।

চারুচন্দ্র প্লেসের কাছে দেশপ্রাণ শাসমল রোড পার হওয়ার সময়েই ঘটল দুর্ঘটনা। সামনের দিকের চাকা ফেটে যাওয়ায় রানাদা আর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। কিছু বোঝার আগেই গাড়ি ধাক্কা মারে রাস্তার ডিভাইডারে। সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞা হারাই। আমার সিটবেল্ট বাঁধা ছিল না। ড্যাশবোর্ডে মুখ থুবড়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরতে দেখি, সকলে মিলে আমাকে দুমড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতর থেকে বার করার চেষ্টা করছেন। টানাটানিতে উইন্ডশিল্ডের ভাঙা কাচগুলোয় আমার পিঠ চিরে যাচ্ছিল। কথা বলার শক্তিটুকুও ছিল না। বাঙ্গুর হাসপাতালে থুতনিতে তিনটে সেলাই করতে হয়েছে। ডান চোখের নীচে কালশিটে পড়েছে। আগামী ১৫ দিনের সব কাজ বাতিল করতে হয়েছে।

কলকাতা নাকি ‘হার্টলেস’! বাস্তব অভিজ্ঞতায় সেদিন বুঝলাম, কথাটা ভুল! সেদিন ওই স্থানীয় মানুষগুলো না থাকলে আমি বা রানাদা কেউই প্রাণে বাঁচতাম না। আর গাড়ি চালানোর সময় রাজ্য সরকার কেন সিটবেল্ট বাঁধা বাধ্যতামূলক করেছে, সেটা সেদিনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরে টের পেলাম। (অভিনেত্রী) -এবেলা।
১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে