বিনোদন ডেস্ক : এই হাসি আর এখন নেই। ‘সাহেব’ ছবির একটি দৃশ্যে তাপস পাল। ‘সাহেব’ ছবিতে ফুটবল দলের গোলরক্ষকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাপস পালকে। দলের সম্মান তো বটেই, কিডনি বেচে বাড়ির সম্মান বাঁচিয়েছিলেন সাহেব। কিন্তু অপরিচিত মাঠে আজ নিজের গোল নিজে বাঁচাতে পারবেন তো কৃষ্ণনগরের সাংসদ? খেলা কিন্তু বেশ কঠিন।
বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় এর আগে যে ক’জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, তাঁদের আদালতে তুলতে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে সিবিআই গোয়েন্দাদের। বিশেষত মদন মিত্রের মতো জনপ্রিয় নেতাদের সমর্থকরা আদালত চত্বরে ভিড় করে, স্লোগান দিয়ে সিবিআই গোয়েন্দাদের উপরে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। এবারে তাই পাল্টা রণকৌশল সাজিয়েছে সিবিআই। তাপস পালকে ভুবনেশ্বরে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার কলকাতায় গ্রেফতারের পরে গভীর রাতে তাপসকে ভুবনেশ্বরে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতা-সাংসদকে নিয়ে রাত আড়াইটে নাগাদ ভুবনেশ্বর পৌঁছয় সিবিআই গোয়েন্দাদের বিশেষ টিম। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই অবশ্য তাপসের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছিল। চা, বিস্কুট খাওয়ার পরেই সকাল ন’টা থেকে তাপসকে জেরা করতে শুরু করেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
আদালতে পেশ করে তাপসকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য দুপুর পর্যন্ত একটানা তৃণমূল সাংসদকে জেরা করা হবে বলে খবর। লক্ষ্য একটাই, রোজভ্যালির সঙ্গে আর কোন প্রভাবশালীরা যুক্ত, কে কে টাকা নিয়েছেন, সেই ধরনের তথ্য যতটা সম্ভব বের করে নেওয়া।
শুক্রবার তাও নিজের শহর কলকাতায় সিবিআই গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। আর এদিন তো একেবারে অচেনা শহরে সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাংসদকে। ফলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি আর কোনও তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেন কি না, এ নিয়ে চিন্তায় থাকতেই হবে শাসক দলের নেতৃত্বকে।
খেলা তাই অত্যন্ত কঠিন। সিবিআই গোয়েন্দাদের আক্রমণের সামনে কতক্ষণ প্রাচীর তুলে দাঁড়াতে পারেন ‘সাহেব’, তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। বাস্তবের শেষটা তো আর সিনেমার মতো হয় না! -এবেলা।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম