বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭, ০২:১১:৩৩

হুররমের ষড়যন্ত্রে ইব্রাহিম পাশার পর মুস্তফারও মৃত্যুদণ্ড হবে

হুররমের ষড়যন্ত্রে ইব্রাহিম পাশার পর মুস্তফারও মৃত্যুদণ্ড হবে

শাহজালাল রোহান: বাংলায় অনুদিত তুরস্কের ধারাবাহিক ‘সুলতান সুলেমান’ সম্প্রচার করছে বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভি। কাহিনী পরম্পরায় সুলেমানের নির্দেশে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন তার বোন জামাই ও প্রধান অমাত্য ইব্রাহিম পাশা। মঙ্গলবার রাতে তা কার্যকর করা হয়েছে। অটোমান সম্রাজ্যের উজির-এ-আজমের এই প্রাণদণ্ড হয়েছে মিথ্যে অভিযোগে। যার পেছনে রয়েছে সুলতানের স্ত্রী হুররমের ষড়যন্ত্র। তাই ইব্রাহিম পাশার প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না দর্শকরা। ফেসবুকের বাংলাদেশি অনেক ব্যবহারকারী তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ইব্রাহিমের প্রতি তাদের সমবেদনার কোনো শেষ নেই। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুররমের সমালোচনায় ফেটে পড়ছেন অনেকে।

ইব্রাহিম পাশা নেই, তবু ‘সুলতান সুলেমান’-এর কাহিনি এগিয়ে চলবে। অন্তত আরো এক বছর দীপ্ত এর সম্প্রচার অব্যাহত রাখবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দীপ্ত টিভির একজন কর্মকর্তা। তারা জানায়, ইব্রাহিমের মৃত্যু হলেও এই ধারাবাহিকের আকর্ষণ কমবে না। সামনে আরো বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটবে। যেখানে দেখা যাবে সুলতান সুলেমানের স্ত্রী হুররামের সহচর রুস্তুমের ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে ছেলে শাহজাদা মুস্তফাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিবে। তা কার্যকরও করা হবে। পরে অবশ্য সুলতান তাঁর ভুল বুঝতে পারবেন। এ নিয়ে তার অনুশোচনার কোনো শেষ থাকবে না। এভাবেই কাহিনি এগিয়ে যেতে থাকবে।

বাংলাদেশে এর আগে হুমায়ুন আহমেদের কোথাও কেউ নাটকে বাকের ভাইয়ের ফাঁসির প্রতিবাদে মানুষ রাস্তা নেমে এসেছিলো। এবার ইব্রাহিম পাশার মৃত্যুতে কেউ রাস্তায় নামেনি। কিন্তু ফেসবুক, টুইটারে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দীপ্ত টিভি ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে সুলতান সুলেমান ধারাবাহিকটি প্রচার করছে। শুরু থেকেই দর্শকপ্রিয় হয়। শুধু এই কারণে চ্যানেলটিও ব্যবসাসফল হয়ে উঠে খুব কম সময়ে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে এটি টিআরপিতে বাংলাদেশের টিভি অনুষ্ঠানমালার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। এর দুই সপ্তাহ পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এটি সব অনুষ্ঠানকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থানে চলে আসে।

তবে এর সাফল্যের হুজুগে অন্য চ্যানেলগুলোও বিদেশি সিরিয়াল আমদানি শুরু করলে দেশের নাট্যাঙ্গনের কুলা-কুশলীরা আন্দোলনে নামেন। তারা এসব ধারাবাহিক বন্ধের দাবিতে মাঠে নামছেন। তাদের আন্দোলন এখনো চলছে।-ঢাকা টাইমস
১১ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে