বিনোদন ডেস্ক : রহস্যময় প্রেম। সম্পর্কে রয়েছেন কি নেই, বোঝা দায়! এই বলি-তারকাদের দাবি, তাঁরা সিঙ্গল। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে টের পাওয়া যায়, প্রেমটা চুটিয়েই করছেন তাঁরা।
সিদ্ধার্থ মলহোত্র-আলিয়া ভট্ট
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই শোনা গিয়েছিল প্রেমটা ভেঙে গিয়েছে তাঁদের। আলিয়া নিজেকে ‘সিঙ্গল’ বলেই দাবি করতেন। আর সিদ্ধার্থ বলতেন ‘ভাল বন্ধু’ তাঁরা। দর্শকও বিশ্বাস করে নিলেন যে সিদ্ধার্থ-আলিয়ার ব্রেক-আপ হয়েই গিয়েছে। কিন্তু টুইস্ট এল গত বছরের শেষে। আবার তাঁদেরকে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা গেল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যাওয়া ছাড়াও আলিয়ার বাড়ির পার্টিতেও ডাক পড়েছিল সিদ্ধার্থের। শেষমেশ তো বিদেশে রওনা দিয়ে বছরের শুরুটাও সিদ্ধার্থের হাত ধরেই করলেন আলিয়া। কিন্তু সেই টুইস্ট, মুখে তাঁদের ভিন্ন সুর! সম্প্রতি ‘কফি উইথ কর্ণ’এ এসে দু’জনেই জানিয়েছেন তাঁরা নাকি সিঙ্গল। তাহলে বোধহয় বন্ধুত্ব উদ্যাপন করতেই একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন সিদ্ধার্থ-আলিয়া!
সুশান্ত সিংহ রাজপুত-কৃতী শ্যানন
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর গত বছরেই অঙ্কিতা লোখণ্ডের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে সুশান্তের। শোনা গিয়েছিল, সেটার কারণ ছিল কৃতীর সঙ্গে সুশান্তের ঘনিষ্ঠতা। যদিও সুশান্ত সে কথা মানতে রাজি হননি। ‘রাবতা’ ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে একে অপরের সঙ্গে ‘কোয়ালিটি’ সময় কাটিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেরাই আবার সেইসব ছবি আপলোড করেছেন। কিন্তু মুখে বলেছেন অন্য কথা। কৃতী বলেছিলেন, ‘‘কোনও একজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি না। পরিবার-বন্ধু সকলেই থাকে আমার সঙ্গে।’’ সমস্যাটা হচ্ছে, আপলোড করা ছবিগুলোতে সুশান্ত ছাড়া আর কাউকেই দেখা যায়নি বেশি! আবার পরিবারের সঙ্গের ছবিতেও সুশান্তকে দেখা যেত ফ্রেমে। সম্প্রতি নিউ ইয়ার্স ইভেও সুশান্তের সঙ্গেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন কৃতী। এবার কৃতী-সুশান্তের কথা বিশ্বাস করা হবে, না সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ছবিগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে— বোঝা মুশকিল!
বান্টি সচদেব-সোনাক্ষী সিংহ
সলমন খানের পাতানো বোন সীমা খানের ভাই বান্টি সচদেবের সঙ্গে দিয়া মির্জা, সুস্মিতা সেন-সহ বলিউডের বেশ কয়েকজন নায়িকার সম্পর্ক ছিল। তবে বর্তমানে তিনি সোনাক্ষীর প্রেমিক। অনেকদিন ধরেই যে তাঁদের সম্পর্কটা রয়েছে সেটা সোনাক্ষী-বান্টির আচরণেই স্পষ্ট। কাজের ফাঁকে সোনাক্ষীর সঙ্গী হন বান্টি। প্রায় সব পার্টিতেই একসঙ্গে দেখা যায় তাঁদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিই তার প্রমাণ। কিছুদিন আগে তো তাঁদের বিয়ের খবরও শোনা গিয়েছিল। তবে তাতে বেজায় চটে গিয়েছিলেন নায়িকা! প্রেম করছেন কি করছেন না, সেটা সরাসরি না বললেও বলেছিেলন, ‘‘আমার হাতে কি কোনও আংটি রয়েছে? তাহলে এসব বলা হচ্ছে কেন?’’ তাঁরা নাকি শুধুই ভাল বন্ধু! অথচ তার পরেই আবার মুম্বইয়ের এক রেস্তোরাঁয় ডিনার ডেট’এ পৌঁছে গিয়েছিলেন সোনাক্ষী-বান্টি। এমনকী, বান্টির মায়ের জন্মদিনে তাঁর পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন সোনাক্ষী। নায়িকাদের সব অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার-স্যাপার, বোঝা দায়!
টাইগার শ্রফ-দিশা পটানি
ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে থেকেই বন্ধু ছিলেন। সেটাই ক্রমশ প্রেমে পরিণতি পেয়েছে। কিন্তু টাইগার-দিশা সে কথা সরাসরি মানতে রাজি নন। বিভিন্ন জায়গাতেই তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায়। এমনকী, বেশ কিছুদিন আগে চুপিসা়ের বাইরে সময়ও কাটিয়েছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। টাইগার বলেছিলেন, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে খুবই ভাল লাগে তাঁদের। তবে দিশার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে এর বেশি কিছু বলার নেই তাঁর। অন্যদিকে দিশার কথায়, ‘‘আমরা খুব ভাল বন্ধু। টাইগারের সঙ্গে স্বচ্ছন্দে সময় কাটাই। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, ডিনারে যাওয়া— সবই করি।’’ তাহলে কি টাইগারই একমাত্র বন্ধু দিশার! নাহলে অন্য কারও সঙ্গেও তো সময় কাটাতে পারতেন দিশা। সব সময় যেভাবে টাইগারই নায়িকার সঙ্গী হন, তাতে এটাকে প্রেম বলা কি খুব ভুল হবে?
আনন্দ আহুজা-সোনম কপূর
বলিউডের ফ্যাশন কুইন সোনম। আর প্রেমটাও করছেন ক্লোদিং ডিজাইনারের সঙ্গে। কিন্তু সেটা স্বীকার করতে নারাজ সোনম। জানিয়েছিলেন, আনন্দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কথা ওঠায় খারাপ লেগেছিল নায়িকার। তবে এইটুকুই, এর বেশি কখনওই কিছু বলেননি সোনম। যথাসম্ভব এড়িয়ে গিয়েছেন এই প্রসঙ্গ। এদিকে আনন্দের সঙ্গে দিব্যি সময় কাটচ্ছেন নায়িকা। সেটা নিজের বাড়ির পার্টিই হোক কিংবা বাইরে কোনও অনুষ্ঠানে, সর্বত্রই তাঁরা একসঙ্গে। এমনকী, আউটিংগুলোও আনন্দের সঙ্গেই সারেন। সম্প্রতি আমস্টারডামে ঘুরতে গিয়েছেন সোনম-আনন্দ। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি পোস্ট করেছেন আনন্দ। এত কিছুর পরেও খোলসা করে বলবেন না, তাঁরা প্রেম করছেন। বুঝে নেওয়ার দায়টা দর্শকের উপরেই বর্তায় আর কী!
পুলকিত সম্রাট-ইয়ামি গৌতম
শোনা গিয়েছিল, শ্বেতা রহিরার সঙ্গে পুলকিতের বিবাহ বিচ্ছেদটাই হয়েছে ইয়ামির কারণে। ‘সনম রে’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। মুখে নিজেদের ‘বন্ধু’ বললেও তাঁদের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা কারও নজর এড়াচ্ছিল না। যদিও তার পরেই ঘটা করেই ইয়ামি জানিয়েছিলেন, এসব গুজব। তাঁদের মধ্যে এরকম কোনও সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে পুলকিতও সোজা জানিয়ে দিয়েছিলেন, শ্বেতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাঙার জন্য কোনওভাবেই ইয়ামি দায়ী নয়। সত্যি, কী ভাল বন্ধুত্ব তাঁদের! যাই হোক, সবকিছুর পিছনে বন্ধুত্বের দোহাই দিলেন পুলকিত-ইয়ামি। কিন্তু শেষরক্ষা যে হল না! তাঁদের একসঙ্গে বিশেষ সময় কাটানো, সমস্ত পার্টিতে একসঙ্গে হ্যাংআউট করা— সেই খবরগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়াটা আটকাতে পারেননি তাঁরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলকিত-ইয়ামির সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাঁদেরও কথা এবং কাজের মধ্যেও বিস্তর তফাত। -এবেলা।
১৫ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম