বিনোদন ডেস্ক: শুধু দীপিকা আর প্রিয়ঙ্কাই নয়। ইন্ডাস্ট্রির পুরুষতান্ত্রিক হোতাদেরও একহাত নিয়েছেন কঙ্গনা। তিনি সব সময়েই মনে যা আসে, বলে ফেলেন। আগাপাছতলা বিচার করেন না। ফলে এবারও করবেন, আশা করাই ভুল! ‘রেঙ্গুনে’র প্রচারে নেমেছেন আপাতত কঙ্গনা রানাউত। আর সেখানেই ছড়াচ্ছেন মণিমুক্তো!
কঙ্গনার সমকালীন প্রতিদ্বন্দ্বী বলিউডে দু’জনই। দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। প্রিয়ঙ্কা বহুদিন আগেই শুরু করে দিয়েছিলেন ইন্টারন্যাশনাল কেরিয়ার— পিট বুল বা উইল আই অ্যামের সঙ্গে গান, ‘কোয়ান্টিকো’, ‘বেওয়াচে’ অভিনয়, অস্কার-গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে পুরস্কার দেওয়া— তাঁর পা দু’টো যে শক্ত জমির উপরেই রাখা, টের পাইয়ে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। দীপিকাও কম যান না! ভিন ডিজেলের সঙ্গে অভিনয় করেছেন, মাজিদ মাজিদির সঙ্গে কাজ করছেন।
কিন্তু এগুলো দেখে মোটেই প্রভাবিত হচ্ছেন না কঙ্গনা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওরা তো বোকামি করছে। ডিজিটাল মিডিয়ার দৌরাত্ম্যে হলিউডের স্টুডিও প্রোডাকশনের অবস্থা বেশ খারাপ! মুভি থিয়েটারের ব্যবসাও পড়ে যাচ্ছে। এখন কেউ হলিউডে কাজ করতে যায়! হলিউডে ১৫ বছর আগে যে অবস্থা ছিল, বলিউডে এখন সেই সময়টা এসেছে। অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে। অনেক এক্সাইটিং কাজের সুযোগ রয়েছে! আমি ওই ফাঁদে কখনওই পা দেব না!’’ কিন্তু ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই এক-আধবার, না হলে হলিউডের শনির দশা নিয়ে এত খবর রাখবেন কেন?
তাঁর কথায়, ‘‘এই ইন্ডাস্ট্রি সাহসী মেয়েদের জন্য নয়। মেয়েদের সাহসকে ভাল নজরে দেখতে পারে না বলিউডের পুরুষরা। সাহসী, ডাকাবুকো মেয়েদের দেখলেই ওদের অস্বস্তি হয়! এতটাই, যে তাদের নিজের বেডরুমেও নিয়ে যেতে চায় না!’’ কথাটা যে হৃতিক রোশনকে উদ্দেশ্য করে, সেটা সমঝদারেরা জানবেনই।
কঙ্গনা অবশ্য এ কথা বলতেও ছাড়েননি, যে মেয়েদেরও নিজেদের মধ্যে একাত্মবোধে সমস্যা আছে। ‘‘এখানে সকলে দেখাতে চায়, তারা আসলে কত ভাল! সকলকে সন্তুষ্ট না করতে পারলে যেন স্বর্গে ওদের জায়গা হবে না। এরা তো নিজেদের হয়েই কথা বলতে শেখেনি এখনও! অন্যের হয়ে কী আওয়াজ তুলবে। বেশির ভাগ মেয়েই তাই ওই পেট্রিয়ার্কাল মানসিকতার সঙ্গে সমঝোতা করে নিচ্ছে...’’ বলেছেন কঙ্গনা।-এবেলা
২ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ