বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ১১:০০:৫৪

আরেক বাঙালির বলিউড অভিযান

আরেক বাঙালির বলিউড অভিযান

বিনোদন ডেস্ক : আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে প্রবাসী বাঙালি অমিত রায়ের প্রথম ছবি ‘রানিং শাদি ডট কম’। অভিনয়ে তাপসী পন্নু এবং অমিত সাধ। দীর্ঘদিন ধরে সিনেম্যাটোগ্রাফি করছেন অমিত। মাথায় ঘুরছিল ছবির ভাবনাও। ছবি তৈরি হয়ে গেলেও মুক্তি পেতে অনেকটাই সময় লাগল। ছবির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন আরেক বাঙালি। সুজিত সরকার। তিনি ছবির অন্যতম প্রযোজকও।

প্রায় দু’বছর আগেই ছবি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। মুক্তি পেতে এত দেরি হল কেন?
যে কোনও ছবি মুক্তির একটা ঠিকঠাক সময় থাকা খুব জরুরি। আমাদের মনে হয়েছিল তাপসীর ‘পিঙ্ক’ আর অমিতের ‘সুলতান’ মুক্তি পেয়ে গেলে আরও বেশি লোকের নজর টানা যাবে। ওদের নিয়ে একটা কৌতূহল তৈরি হবে। তাই অপেক্ষা করছিলাম।

সিনেম্যাটোগ্রাফার থেকে পরিচালকের সফরটা কেমন?
সিনেম্যাটোগ্রাফারের জীবনটা অনেক ফাস্ট। এক বছরে আমি দুই থেকে তিনটে ফিচার ফিল্মে কাজ করতে পারি। কিন্তু পরিচালক হয়ে দেখলাম, একটা চিত্রনাট্যের প্রথম খসড়া লিখতেই এক বছর পার হয়ে গেল! তারপর গুচ্ছের মিটিং তো রয়েছেই। তবে ফ্লোরে পৌঁছে গেলে বাকিটা সহজ হয়ে যায়।

নিজের ছবির জন্য সিনেম্যাটোগ্রাফি করা কি অন্যের ছবির চেয়ে সহজ?
ব্যাপারটা অনেকটা একটা দলের স্টার পারফর্মার হওয়া আর ক্যাপ্টেন হওয়ার মতো। দু’টোরই ভাল-খারাপ রয়েছে। তবে ক্যাপ্টেন হয়ে গেলে অনেক বেশি দায়িত্ব
চলে আসে। যদিও আমি সেগুলো উপভোগ করেছি।

এই ছবির ভাবনাটা কীভাবে মাথায় এল?
নবজ্যোত গুলাটি নামে এক চিত্রনাট্যকারের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ২০১২’র শুরুর দিকে। ভাবনাটা ওরই। একজোড়া ছেলেমেয়ে, যারা প্রেমিক-প্রেমিকাদের পালিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করে! আমার শুনে ভাল লেগেছিল বলে কনসেপ্ট’টা ডেভেলপ করি। আর সেই সময় থেকেই বলিউডে অন্য ধরনের ছবি গুরুত্ব পাওয়া শুরু করেছিল। স্টার পাওয়ার ছেড়ে দর্শক গল্পের দিকে ঝুঁকছিলেন। তাই এই ছবিটা তৈরি করতে তেমন অসুবিধে হয়নি।

সুজিত সরকারের সঙ্গে পরিচয় হল কীভাবে?
আমি ছোট থেকেই দিল্লির বাসিন্দা। আমার কাকার সঙ্গে সুজিতদা’র পরিচয় ছিল। সেই সূত্রেই আলাপ। দিল্লিতে অনেকগুলো বিজ্ঞাপনের কাজ একসঙ্গে করেছি। প্রায় একই সময় মুম্বইয়ে আসি। ‘পিঙ্ক’এও কাজ করেছিলাম। আমার ছবির চিত্রনাট্য একেবারে তৈরি হওয়ার পর অমিত আর তাপসীর কাছে গিয়েছিলাম। ওরা রাজি হওয়ার পর সুজিতদা’কে গল্পটা বলি। ওর ভাল লেগে যায়। তাই প্রোডিউস করতে রাজি হয়।

কলকাতার সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ আছে?
প্রচুর তুতো ভাইবোনেরা থাকে ওখানে। যাওয়া হয় মাঝেমধ্যে। আমার কাকা তথ্যচিত্র বানাতেন। ওঁর থেকেই সিনেমার প্রতি ভালবাসাটা পেয়েছি।
০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে