বিনোদন ডেস্ক : ‘ক্ষমতা’ বলতে কী বোঝেন মানুষ, তা হাড়েহাড়ে টের পেলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। কয়েকদিন আগে রজনীকান্ত বলেন, তিনি ক্ষমতা ভালবাসেন। সঙ্গে সঙ্গে জল্পনা ছড়ায়, রাজনীতিতে নামতে চলেছেন থালাইভা। তামিলনাড়ুতে অভিনেতার রাজনীতি করা নতুন কিছু নয়।
আর জয়ললিতার মৃত্যুর পর রাজ্যে যে রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিয়েছে তাতে অনেকেই ভাবেন হয়ত রাজনীতিতে নামছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহল থেকে বলা হয়েছে, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ রজনীকান্ত। এরপরই তার রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রজনীকান্ত বলেছেন তিনি আধ্যাত্মিক ‘শক্তি’র কথা বলেছেন। তাতেও সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা থামানো যায়নি।
প্রায় চার দশক তামিল সিনেমা করছেন রজনী। তবে রাজনৈতিক সংস্রব এড়িয়েই চলেছেন। তার রাজনৈতিক ক্যারিশমা যে প্রশ্নাতীত তার প্রমাণ হয়েছে আগেই। ১৯৯৬ সালে বদলাবদলির ঐতিহ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল জয়ললিতার। কিন্তু রজনীর একটি মন্তব্য— ‘জয়ললিতা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে ঈশ্বরও তামিলনাড়ুকে বাঁচাতে পারবে না।’ এরপরই জন সমর্থন হারান জয়া। পরাজয় হয় আম্মার।
এক দশক পরে অবশ্য মত বদলান রজনী। জয়ললিতাকে ‘অষ্টলক্ষ্মীর অবতার’ বলেন তিনি। রাজ্যেটির বিধানসভা নির্বাচনের আগে রজনীকান্তের সঙ্গে দেখা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরেও রাজনীতি নিয়ে নতুন কিছু তখন ভাবেননি সুপারস্টার। এবার হয়ত অবস্থান বদলাবেন তিনি। নতুন দল গড়বেন। আর সেই দলের হাত ধরেই তামিলনাড়ুতে পা রাখবে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
০৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি