শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ১০:৪৮:১১

চুপিচুপি কার পোস্ট বক্সে কার্ড রেখে আসতেন সাহেব?

চুপিচুপি কার পোস্ট বক্সে কার্ড রেখে আসতেন সাহেব?

বিনোদন ডেস্ক : সাহেব ভট্টাচার্য মানেই তোপশে, এমন একটা ইমেজ এখনও বাংলার দর্শকদের মনে রয়েছে। যদিও শেষ ছবি ‘রোম্যান্টিক নয়’-তে নিজের সেই ইমেজকে ভেঙে দিয়েছেন সাহেব, তা সত্ত্বেও সাহেব বলতে দর্শক তোপশের কথাই ভাবেন। সত্যজিৎ রায়ের গল্পে না ফেলুদা, না তোপশে, কারও মধ্যেই নরনারীর রোম্যান্সের কোনও ছিঁটেফোটা নেই। কিন্তু বাস্তবের মানুষটি বেশ রোম্যান্টিক। শুধু রোম্যান্টিক নয়, অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়।

ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে টানা বেশ কয়েক বছর পাড়ারই একটি মেয়ের বাড়ির পোস্ট বক্সে চুপিচুপি কার্ড দিয়ে আসতেন সাহেব-- ‘তখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি। আমার পাড়ারই একটি মেয়েকে খুব ভাল লাগত। সে আমার থেকে বয়সে অবশ্যই ছোট ছিল। প্রথম প্রথম সে ঠিক ধরতে পারে নি যে কে এটা করছে কিন্তু তার পরে জেনে গিয়েছিল। তার খুব রাগ হয় কারণ ওই কার্ডের জন্য তাকে বাড়িতে বকুনি খেতে হতো। আমাকেও খেতে হয়েছে পরে।’

কিন্তু কোনওদিনই সেই চাইল্ডহুড ক্রাশের হাতে উপহার তুলে দিতে পারেননি সাহেব। বাড়ির সামনে রেখে চলে আসতে হতো। প্রথম উপহারটি তো সে নাকি হাতেই পায়নি কারণ দেখামাত্রই সেই মেয়েটির বাবা ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। তবু আশা ছাড়েননি সাহেব। প্রত্যেকদিন সেই মেয়েটির বাড়ির সামনে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাও মেরেছেন। তবু প্রেম ধরা দেয়নি।

সাহেব জানালেন, ‘বহু বছর আগে এই মেয়েটির কথা আমি কোথাও একটা লিখেছিলাম। সেটা পড়ে সে আমাকে ফোন করে বলে, তুমি এখনও এইগুলো নিয়ে কথা বলো? আসলে গোটা ব্যাপারটা খুব মজার ছিল, খুব স্পেশাল একটা সময় ছিল আমার কাছে। তাই সারাজীবনই এটা মনে থাকবে।’

আর এখনকার প্রেমিকা মানে সুপারমডেল সনিকা চৌহান? তাঁর সঙ্গে এবছর কীভাবে এই দিনটা কাটাবেন সাহেব? ‘এবার আর ওই দিনটা একসঙ্গে থাকা হবে না কারণ দু’জনেরই শ্যুট আছে। হয়তো পোস্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে সেলিব্রেশন করতে হবে। সনিকা আগে এই দিনটায় বিলিভই করত না। আমি যখন সেলিব্রেট করতে শুরু করলাম, উপহার দিতে শুরু করলাম, তার পরে আস্তে আস্তে এখন ওরও এটা ভাল লাগে, ও-ও সেলিব্রেট করে।
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে