বিনোদন ডেস্ক : বলিউড হোক বা দক্ষিণী সিনেমা, অথবা বাংলা ছবি। খলনায়কের ভূমিকায় বর্তমানে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সানি দেওল থেকে শুরু করে হৃতিক রোশন, বা হালে বাংলার জিৎ, দেব। পর্দায় অনেকের হাতেই মরতে হয়েছে তাঁকে। এহেন আশীষ বিদ্যার্থী একবার শ্যুটিং করতে গিয়ে সত্যিই মরতে বসেছিলেন।
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে আশীষ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সিনেমায় ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে কমবেশি ১৮২ বার মরতে হয়েছে তাঁকে। এখন কোনও সিনেমায় তাঁকে নতুন কোন উপায়ে মারা যায়, তা ভেবে বার করতেই চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালকদের মাথার চুল ছেড়ার অবস্থা হয় বলে নিজেই মজা করেছেন আশীষ।
কিন্তু বাস্তবে সিনেমার শ্যুটিং করতে গিয়ে সত্যি সত্যিই মরতে বসেছিলেন আশীষ বিদ্যার্থী। ‘বলিউড ডায়েরিজ’ নামে একটি ছবির শ্যুটিং করার সময় ছত্তিশগড়ের দুর্গে একটি জলাশয়ের মধ্যে ডুবেই যাচ্ছিলেন আশীষ এবং তাঁর এক সহ-অভিনেতা।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী আশীষ জলে নেমেছিলেন। কিন্তু তিনি এবং তাঁর এক সহ-অভিনেতা জলাশয়ের তুলনামূলকভাবে গভীর অংশে চলে যান। তখনই তাঁরা ডুবতে শুরু করেন। প্রথমে অনেকেই ভেবেছিল সিনেমার গল্প অনুযায়ী ডুবে যাচ্ছেন দুই অভিনেতা। শেষ পর্যন্ত বিপদ বুঝে এক পুলিশকর্মী আশীষ বিদ্যার্থী এবং তাঁর সহ-অভিনেতার প্রাণ বাঁচান। সেদিন ওই শ্যুটিং স্পটে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই পুলিশকর্মী।
আশীষ বিদ্যার্থীর মায়ের মতো তাঁর স্ত্রীও বাঙালি। নাম রাজোশী। তিনি বাঙালি অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার মেয়ে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে আশীষ বাংলার জামাইও। প্রায় তিরিশ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা আশীষ ১৯৯৫ সালে ‘দ্রোহকাল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন। -এবেলা।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম