ঝগড়ার চার বছর পর আবার বন্ধুত্ব
বিনোদন ডেস্ক : দুই বন্ধুর মাঝে ঝগড়ার অবসান হয়েছে এবার। 'কাহানি' সিনেমার শ্যুটিং-এর পর থেকে কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিদ্যা বালন এবং সুজয় ঘোষের মধ্যে। কিন্তু এই ঝগড়ার বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ছিলেন দুজনেই।
তবে কানা-ঘুসো যা শুনতে পাওয়া গেছে ‘কহানি’র সিক্যুয়েল হওয়ার কথা ছিল ‘কহানি টু’। সেটা লিখতে শুরু করে মাঝপথে থামিয়ে দেন সুজয়। কিন্তু পরিচালক সুজয় ঘোষ সেই ছবির কাছ বন্ধ রেখে 'দুর্গা' নামে একটি ছবি করার কথা ভাবেন। বিদ্যাকে প্রধান চরিত্রে রেখে ‘দুর্গা’ ছবিটা করার বহু বছরের পরিকল্পনা ছিল সুজয়ের। বিদ্যা জানিয়ে দেন সেটা তিনি করবেন না। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে সরে যান। সুজয় যা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ বিদ্যার সঙ্গে কথা বলে তবেই তিনি ছবির কাজে এগিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আবার ভাব হয়ে গিয়েছে দুজনের মধ্যে।
তার পর দু’পক্ষের মাঝে বন্ধ হয়ে যায় কথাবলা। কেন কথা বলেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজয় অদ্ভুত উত্তর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘মুম্বাই এমন আজব শহর যে সেখানে রাস্তার সঙ্গে দেখা বা প্রেম মানুষের চেয়ে বেশি হয়।’
আপাতত জানা যাচ্ছে, তিনটি ছবিকে কেন্দ্র করে আবার তাদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক জীবিত হয়ে উঠেছে। অমিতাভের সঙ্গে ছবিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করার জন্য বিদ্যাকে ফোন করেছিলেন পরিচালক সুজয়। বিদ্যা এককথায় রাজি হয়ে গেলেন। দুবন্ধুর মন কষাকষি তখনই সমাপ্ত হয়ে গেলে। বিদ্যার নাম ক্রেডিট রোলে স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্স হিসেবে গেলেও। প্রায় বিশদিন তাকেও কলকাতায় থেকে শুটিং করতে হবে।
সুজয়ের এ ছবিতে একটা চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিও রয়েছেন। সুজয় যদিও ‘কহানি’র সঙ্গে তুলনা চান না। সেটা অনিবার্য ভাবে এসেই যায়। কারণ ছবিতে তো এবারো থাকছেন নওয়াজ, ভিদ্দা বাগচি এবং সুজয়। পার্থক্য থাকবে শুধু এতোটুকুই সে বার বিদ্যাকে নওয়াজের জন্য পুলিশের সাহায্য নিতে হয়েছিল। কিন্তু এ বার বিদ্যা নিজেই কলকাতা পুলিশের সাবইন্সপেক্টর।
উল্লেখ্য : 'কাহানি'র পর ৪বছর কেটে গেলেও কোনও পূর্ণ দৈর্ঘের ছবি করতে দেখা যায়নি পরিচালক সুজয় ঘোষকে। 'অহল্যা' নামে শর্ট ফিল্মটি ইন্টারনেটে রিলিসের পর যথেষ্ট খ্যাতি কুড়িয়েছিল। তবে কি 'কাহানি'র বিদ্যা বাগচীর ওপর শুধুমাত্র রাগ করেই গত ৪ বছরে পূর্ণ দৈর্ঘের সিনেমা বানালেন না, সুজয় ঘোষ? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
১৯ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�