সোমবার, ০৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১১:৪০:০২

আসিফের চোখে সবচেয়ে ভদ্র 'কিউটেস্ট সুন্দরী' পরীমনি

আসিফের চোখে সবচেয়ে ভদ্র 'কিউটেস্ট সুন্দরী' পরীমনি

বিনোদন: আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। নানা আয়োজনে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করছেন চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলীরা। দিবসটি উপলক্ষে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলা ছবির সেকাল ও একাল নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

আসিফের স্ট্যাটাসে ফুটে উঠেছে বাংলা চলচ্চিত্রের এই সময়ের সবচেয়ে ভদ্র ও সুন্দরী নায়িকার কথা। জনপ্রিয় এ কণ্ঠশিল্পীর চোখে বর্তমান সময়ে 'অসম্ভব ভদ্র সুন্দরী' নায়িকা হলেন পরীমনি।

আসিফ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, বাংলা ছবির দুই অবিসংবাদিত অভিনেত্রী শাবানা ম্যাডাম এবং ববিতা ম্যাডাম। আবাহনী- মোহামেডানকে ঘিরে যেভাবে দেশ বিভক্ত হয়ে যেতো, আমাদের বাসায়ও ম্যাডামদের নিয়ে হতো সেই রকম মাতামাতি। আমার বড় দুই বোনের নেতৃত্বে বাসায় দুটি গ্রুপ স্বক্রিয় ছিল।

তিনি বলেন, কুমিল্লা শহরে রুপকথা, লিবার্টি, রুপালী, দীপিকা এবং সবশেষ আধুনিক হল ছিল মধুমিতা। এই হলগুলোতে ছবি রিলিজ হলেই মাইকিংয়ে অস্থির হয়ে যেতো শহর। আমরা দৌড়ে বারান্দা বা ব্যালকনিতে ছুঁটে যেতাম কাস্টিংয়ে কে কে আছেন আর কি গান বাজায়, তা শোনার জন্য।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা পরীমনির প্রশংসা করে আসিফ লেখেন, বছর দুয়েক আগে কক্সবাজারের হিমছড়িতে যাচ্ছিলাম আমার গানের শুটিংয়ে। পথে ফিল্মের শুটিং দেখে থামলাম, পরিচালক রকিব ভাই এগিয়ে এলেন।

'ইউনিটের সবাইকে হাই-হ্যালো শুরুর আগে একটি মেয়ে দৌড়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো, তার নাম পরীমনি, সে আমার ফ্যান। এখন বাংলাদেশী নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে কিউটেস্ট। আমি রীতিমত অবাক তার উচ্ছ্বাস দেখে, আমরা পরিচিত হলাম, সেই শেষ দেখা' যোগ করেন তিনি।

আসিফ আরও লেখেন, কিছুদিন আগে 'চাঁদনী' ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হল, আমার গান দিয়ে সিনেমার কাজ শুরু হবে। অফিসে বসে আছি গান গাওয়া শেষে, হঠাৎ পরিচালক শামীম ভাই পরীকে নিয়ে আমার অফিসে ঢুকলেন। আমি আবারো অবাক, তারপর নানা আনুষ্ঠানিকতায় পরীকে লক্ষ্য করলাম, সে আমার চেয়ে বেশী স্ট্রেইট কাট। সঙ্গে নিরহংকারী এবং অসম্ভব ভদ্র সুন্দরী। পরীর জন্য শুভকামনা সবসময়।

সিনেমা দেখে অন্যদের মতো আসিফও মাঝে মাঝে নিজেকে হিরো মনে করতেন। তার স্ট্যাটাসেও সেই কথা স্বীকার করেছেন জনপ্রিয় এই গায়ক।

তিনি লেখেন, সিনেমা দেখার গল্প আগেও লিখেছি । সিনেমা দেখতে দেখতে ফ্ল্যাশব্যাকে সাদাকালোয় নিজেই হিরো হয়ে যেতাম। অ্যাকশন ছবি দেখে হল থেকে বের হয়ে হাঁটার সময় কাউকে গুনতাম না, পারিবারিক এবং সামাজিক ছবি দেখে আবেগী হয়ে যেতাম, বিপ্লবী ছবি দেখে বিদ্রোহী হয়ে যেতাম, রোমান্টিক ছবি দেখে স্বপ্নলোকে হারিয়ে যেতাম। স্বপরিবারে হলে গিয়ে ছবি দেখার মজাই ছিল আলাদা।

আসিফ বলেন, আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস, একজন বাংলাদেশী প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে গর্ববোধ করি। প্রাণ ফিরে আসুক বাংলা চলচ্চিত্রে। ডানা কাটা পরীরা উড়ে বেড়াক পর্দার বাইরের হিরোদের মনে!! ভালবাসা অবিরাম...
০৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এ পি/ ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে