বিনোদন ডেস্ক : শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে-সন্তান নিয়ে সোমবার বিকাল থেকে নানা নাটকীয় সব ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সোমবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সন্তানসহ হাজির হন দীর্ঘদিন আড়ালে থাকা চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। লাইভ সাক্ষাৎকারে তিনি বিয়ে-সংসার এবং দাম্পত্য টানাপোড়েন তুলে ধরেন। এরপর থেকে দেশেজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এদিকে সোমবার রাতে অরেকটি বেসরকারি টিভির ফোনো লাইভ অনুষ্ঠানে শাকিব-অপু একসঙ্গে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি শাকিব খানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘শাকিব খান, আমি ভাই হিসেবে আপনাকে একটা কথা বলছি। এটা আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ। আপনারা নিজেরা একটু সমাধান করুন। যেহেতু আপনাদের সঙ্গে একটা সন্তান যুক্ত হয়েছে। হয়তো অপু বিশ্বাসের ভুল হয়েছে। আপনারও হয়তো ভুল হয়েছে। কিন্তু বাচ্চাটাকে নিয়ে আর বিতর্ক বাড়াবেন না। আমার বাচ্চাটার জন্য ভীষণ মায়া হচ্ছে। ’
এ সময় শাকিব খান বলেন, ‘ভাই আমি আপনাকে একটা কথা বলি। স্টার কিন্তু বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। সব স্টার কিন্তু মানুষ। স্টার হোক আর মহাস্টার হোক সে কিন্তু মানুষ। আর মানুষের তো ব্রেকআপ হয়ই। মানুষের সংসার মানুষের জীবন এগুলো থাকে। এটা আপনি নিজেও ভালো করে জানেন। একবার না হয় দ্বিতীয়বার না হয় তৃতীয় বার ব্রেকআপ হয়।’
এ সময় নাঈমুল ইসলাম খান বেশ বিব্রত হয়ে বলেন, ‘আপনার সন্তান আছে তো সে জন্য বলছি। ব্রেকআপ তো আগ্রহের বা আকর্ষণীয় সেটা নয়। আপনার আর অপুর উচিত সমস্যার সমাধান করে ফেলা। ’
ফোনো লাইভে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘টিভি লাইভে আসার কারণ আমার বিয়ে হয়েছে আমার বাচ্চা আছে। এমন খুশির সংবাদ সবাইকে জানাবার জন্য আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে নিজের কথাগুলো শেয়ার করেছি। ’
অনুষ্ঠানের শুরুতে অপু বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হয় ঠিক কী কারণে আপনি নয় বছরের বিবাহিত জীবনের কথা গোপন রেখেছেন? উত্তরে অপু বলেন, ‘সে আমার স্বামী, সে কথা চিন্তা করে তাকে সাপোর্ট দিয়েছি। ইন্ডাস্ট্রির জন্য শাকিব-অপু একটি জুটি। সে কারণে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমরা কাউকে আমাদের বিয়ের কথা বলতে পারিনি। কারণ আমিও একজন চলচ্চিত্রের মানুষ। ওই সময় ইন্ডাস্ট্রির জন্য আমাদের বেশ দরকার ছিল। কিন্তু আমার বাচ্চা হয়েছে। তার জীবন, তার বাবার পরিচয় জানার খুব দরকার। সে কারণে শেষ পর্যন্ত আমার সন্তানের কথা চিন্তা করেই আমি সবার সামনে বলতে বাধ্য হয়েছি। আমার বাচ্চা হয়েছে ৬ মাস। তারপরও আমি কাউকে বলতে পারিনি। কিন্তু এখন আমার কাছে মনে হয়েছে আমি ঠকেছি। তাই বাধ্য হয়ে বলতে হয়েছে আমার আর শাকিবের বিয়ে হয়েছে আমাদের সন্তান আছে। এতো লুকোচুরি আমি আর সহ্য করতে পারছি না। ’
অপুকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে শাকিব বলেন, ‘আমি তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছি না কেমন করে? চাকরের মতো গত নয় বছর তার প্রতিটি আবদার রক্ষা করেছি। সে বলেছিল, এ নায়িকা ওই নায়িকার সঙ্গে ছবি করা যাবে না। সে যার যার সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেছে তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে ছবি আমি স্টপ করে দিয়েছি। ’
১১ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস