বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই ছবিতের প্রায় ১০ বছর দাপিয়ে অভিনয় করেন ময়ূরী। ২০০৫ সালের পর অনেকটাই অন্তরালে চলে যান তিনি। ময়ূরী এখন চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। রুপালি পর্দার বাইরে কীভাবে দিন কাটছে ময়ূরীর! তিনি এখন কোথায় আছেন? কেমন আছেন? অভিনয় ছেড়ে কোন পেশা বেছে নিয়েছেন? এমন প্রশ্ন লাখও চলচ্চিত্রপ্রেমীর মনে উঁকি মারে অনেক সময়।
ময়ূরীর হাল-হকিকত জানার জন্য তার সঙ্গে অতীতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হঠাৎ এই প্রতিবেদকের সঙ্গে ময়ূরীর দেখা হয় রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বিপণিতে। সাংবাদিক পরিচয় শুনেই অজানা কারণে এড়িয়ে যান ময়ূরী। ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন।
এরপর তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনেক সাংবাদিক মনগড়া আর নেতিবাচক খবর প্রকাশ করেছেন। অথচ এসব খবরের সত্যতা নেই। তাই আমি কোনো সংবাদ মাধ্যমে আর কথা বলতে চাই না। একপর্যায়ে ময়ূরী বলেন, চলচ্চিত্রের কোনো কাজ করছি না। আগামীতেও অভিনয় করার সম্ভাবনা নেই। এখন ‘স্টেজ শো’তে পারফর্ম করি। এটাই দিয়ে আমার জীবিকা নির্বাহ করি।
চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিছুই বলতে চাননি ময়ূরী। তবে কয়েক বছর আগে চলচ্চিত্রে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি নিয়ে ময়ূরী বলেন, ইচ্ছা ছিল ছবি বানাব। কিন্তু ফিল্মে এখন পলিটিক্স চলে বেশি। যে কারণে ছবি নির্মাণে টাকা খরচ করলে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই জেনেশুনে লোকসান গুনতে চাই না। এ চিন্তা আমার মাথায় নেই।
ময়ূরী থাকেন রাজধানীর মগবাজারে। অতীতে নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেই ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়ে তিনি আরেকটি ভাড়া বাসায় থাকেন। ভাড়ার টাকা এবং মাঝে মধ্যে স্টেজ শো করেই দুই কন্যাসন্তান নিয়ে তিনি দিব্যি ভালো আছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, ময়ূরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘মৃত্যুর মুখে’ এবং সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘বাংলা ভাই’। নব্বই দশক থেকে এ পর্যন্ত ময়ূরী অভিনীত তিনশ ছবি মুক্তি পেয়েছে। নার্গিস আক্তার পরিচালিত ‘চার সতীনের ঘর’(২০০৫) শিরোনামের ছবিতে চলচ্চিত্রাভিনেতা আলমগীরের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন ময়ূরী। ময়ূরীর স্বামী রেজাউল করিম খান মিলন না ফেরার দেশে চলে যান ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। মিলন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
২১ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর