বিনোদন ডেস্ক : একটা পুরনো ঘটনা, অ্যানেকডট বলা যায়। সালটা ২০১৩। ঠিক কী ঘটেছিল বা কী করেছিলেন বিখ্যাত পরিচালক যে কেঁদে ফেলেছিলেন দীপিকা? সঞ্জয় লীলা ভনশালির ইউনিটের সবাই ঘটনাটার কথা জানতেন কিন্তু সেভাবে বিষয়টা আগে আলোচিত হয়নি।
সম্প্রতি সেই পুরানো ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন 'রাম-লীলা' ছবির সহ-চিত্রনাট্যকার গরিমা ওয়াহাল। ২০১৩ সালে তিনি ও সিদ্ধার্থ সিং লিখেছিলেন এই ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ। সেই সংলাপকে ঘিরেই ঘটেছিল ঘটনাটি।
দীপিকা পাডুকোন সংলাপ মুখস্ত করার বিষয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস। শটে আসার আগে প্রত্যেকটা লাইন, প্রত্যেকটা যতি-চিহ্ন মুখস্ত করে আসেন নায়িকা। আর সেখানেই হয়েছিল সমস্যা। গরিমা সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন যে সঞ্জয় লীলা বনশালী শেষ মুহূর্তে টুকটাক পরিবর্তন করতে পছন্দ করেন। সেদিন ছিল দীপিকার শ্যুটিংয়ে প্রথম দিন।
ভাল ভাবে সব পড়ে-টড়ে এসেছেন নায়িকা। কিন্তু শট দিতে এসে দেখেন যে লাইন বদলে গিয়েছে। এতেই প্রচণ্ড মনমরা হয়ে পড়েন দীপিকা, কেঁদেও ফেলেন। আসলে শুধু সংলাপ মুখস্থ করা তো নয়, সংলাপটি কীভাবে বলবেন সেটাও একজন ভাল অভিনেতা অভ্যাস করে আসেন। লাইন বদলে গেলে সংলাপের ডেলিভারিও বদলে যায়, অভিনয়েও বেশ খানিকটা রদবদল ঘটে যায়।
হঠাত্ করে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তাই ঠিক নিজেকে সামলাতে পারেননি দীপিকা। গরিমা জানিয়েছেন, সেদিন প্রায় সারাটা দিন তাকে এবং সিদ্ধার্থকে ব্যয় করতে হয়েছিল পরিবর্তিত সংলাপে দীপিকাকে সহজ করে তুলতে। দৃশ্যটা ছিল প্রথমবার যখন রাম ও লীলার পরস্পরের সঙ্গে দেখা হয় নিজের নিজের গোষ্ঠীর মাথা হিসেবে। সেই যেখানে লীলা-কে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ব্যক্তিত্বে দেখে মুগ্ধ হয় রাম।
বলা বাহুল্য, কান্নাকাটি করেও শটটা ভালই দিয়েছিলেন দীপিকা। সিনেমার অন্যতম সেরা দৃশ্য অবশ্যই। সিদ্ধার্থ ও গরিমাই লিখেছেন আসন্ন ছবি 'রবতা'-র চিত্রনাট্য, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন কৃতি শ্যানন ও সুশান্ত সিং রাজপুত।
২ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস