বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই ছবির পরিচালক রফিক শিকদারের বিরুদ্ধে মানসিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ করেছেন কলকাতার নায়িকা প্রিয়াংকা সরকার। পরিচালক রফিক শিকদার চূড়ান্ত অপেশাদার মানুষ হিসেবেও দাবি করেন তিনি। এর জবাবে মুখ খুললেন রফিক শিকদার।
রফিক শিকদার বলেন, প্রিয়াংকা ঢাকায় আসার পর তার চলাফেরায় যেন কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য তাকে একটি গাড়ি দেয়ার কথা বলেছিলাম। কলকাতায় যাওয়ার পর ছবির শুটিং শিডিউল সংক্রান্ত বিষয়ে একেবারেই কথা বলছিল না প্রিয়াংকা। অথচ ওয়ার্ক পারমিট করার জন্য তার শিডিউল লেটার চাচ্ছিলাম অনেকদিন ধরেই। সেটাও পাচ্ছিলাম না। ফোন করলে কেটে দিত, ইনবক্সে এসএমএস করলে দেখত কিন্তু তার উত্তর দিত না।
পরিচালক বলেন, তখন আমি ভাবছিলাম এই মানুষটার আসলে কোনো রোগ আছে কি-না। আমি তার মানসিক অবস্থা নিয়েও গবেষণা করেছি। নিঃসন্দেহে আমি বলব প্রিয়াংকা একজন মানসিক রোগী। আর শুটিং করতে গিয়ে ক্লান্ত হলে আমি মেকআপ রুমে গিয়ে বসেছি। কারণ রোদে পুড়ে কাজ করতে হয় আমাদের। মেকআপ রুমে তো এসি থাকে। তবে ভারতে যাওয়ার পর যখন আমাকে শুটিং শিডিউল নিয়ে ভোগাচ্ছিল সে তখন আমি মনে করেছি বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বা এই ধরনের ওষুধে কাজ হয় কি-না।
বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্রিয়াংকা শুটিংয়ে রাজি হবেন এমন কেন মনে করলেন? জবাবে রফিক শিকদার বলেন, বিয়ের প্রস্তাব দেবার আগে আমি বলেছি তাকে আমার ভালো লাগে। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। এটা বললে কি কোনো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে? তার প্রতি আমার ভালোলাগা ছিল। শুটিংয়ে যাওয়ার পর তার মানসিক অস্থিরতা দেখার পর আমার মনে তার প্রতি মায়া জন্ম নিয়েছে। তারপর শুনেছি তার ডিভোর্স হয়েছে এবং বাচ্চা আছে। সবকিছু মিলিয়ে মায়া লেগেছে। তবে বর্তমানে আর্থিক ক্ষতি, পরিচালকের সঙ্গে অসাধারণ আচরণের জন্য আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা চলছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো।
৬ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি