শুক্রবার, ১২ মে, ২০১৭, ০৪:৫৮:০৬

সোনিকা তো একমাত্র বিক্রমকেই ভরসা করেছিল : অঙ্কুশ

সোনিকা তো একমাত্র বিক্রমকেই ভরসা করেছিল : অঙ্কুশ

অঙ্কুশ হাজরা : ২৯ এপ্রিল। ভোররাতের দুর্ঘটনা। সোনিকার মৃত্যু। তার পর বেশ কয়েকটা দিন কাটল। খুব দ্রুত দিন কাটছে। ট্রমা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে বিক্রম। পুলিশের কাছে হাজিরাও দিচ্ছে। তদন্ত চলছে। কোন পথে, কী ভাবে সেটা নিয়ে আজ কথা বলব না। বরং কথা বলব অন্য কয়েকটা ইস্যুতে।

বিক্রমকে আমি অনেকদিন ধরে চিনি। আমার খুব ভাল বন্ধু। কিন্তু সোনিকাকে আমি ভাল ভাবে চিনতাম না। বিক্রমের টুইটারে ওর আর সোনিকার কয়েকটা ছবি দেখে জানতে চেয়েছিলাম ওর ব্যাপারে। বিক্রম বলেছিল, 'সোনিকা আমার জীবনে খুব স্পেশাল এক মানুষ।' ব্যাস, ওটুকুই। বিক্রমের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর কৌতূহল দেখাইনি। খুব অদ্ভুত ভাবে এই ঘটনার পর ওদের সম্পর্ক নিয়েও অনেকে কথা বলছেন।

তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, সত্যিই সম্পর্ক থাকলে সেটা ওদের পার্সোনাল ইস্যু। আর এত কাছের একজন মানুষকে যতটা সাবধানে সম্ভব বাড়ি পৌঁছে দেওয়ারই চেষ্টা করবে যে কেউ। এটা ভুলে গেলে চলবে না, সেই রাতে পার্টিতে সোনিকার অনেক বন্ধু ছিল। কিন্তু সোনিকা একমাত্র বিক্রমের সঙ্গেই বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল। একমাত্র ওকেই ভরসা করেছিল। ওর গাড়িতে উঠেছিল সেই ভরসার জায়গা থেকেই।

আমি বিক্রমকে যতটা চিনি ও খুব ভাল ড্রাইভ করে। আর যদি বিক্রম নিজে মনে করত, নেশা করে গাড়ি চালানোর মতো অবস্থায় নেই তা হলে রিস্কটা নিতই না। অবাক লাগছে দেখে 'জাস্টিস ফর সোনিকা' এবং 'ভয়েস ফর বিক্রম' দু'টো দলে ভাগ হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল ওয়ার্ল্ড। এ সব দেখে খুব বিরক্ত বিক্রম। বিক্রম বলছে, 'ভয়েস ফর বিক্রম'-পেজে যারা লাইক করছেন, তারা যদি 'জাস্টিস ফর সোনিকা'তেও লাইক করেন তাতেও কিছু যায় আসে না।

তদন্ত নিজস্ব নিয়মে চলছে। আমার শুধু একটাই অনুরোধ, নিজের জীবনের স্পেশাল মানুষ এমন একটা দুর্ঘটনায় চিরকালের মতো চলে যাওয়ার যন্ত্রণাটা বিক্রম প্রতি মুহূর্তে ফিল করছে। সেটা কোথাও বোঝা দরকার।

লেখক : কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা।
১২ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে