শুক্রবার, ১৯ মে, ২০১৭, ১০:০৩:০৩

'তোমাদের কে অধিকার দিয়েছে, কথায় কথায় চিঠি দেওয়ার, পরিচালক নিষিদ্ধ করার'

'তোমাদের কে অধিকার দিয়েছে, কথায় কথায় চিঠি দেওয়ার, পরিচালক নিষিদ্ধ করার'

বিনোদন ডেস্ক: শিল্পী সমিতির নির্বাচন, শিল্পী নিষিদ্ধ, পরিচালক নিষিদ্ধসহ নানা ইস্যুতে চলচ্চিত্রপাড়া যখন উত্তপ্ত, তখন এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজ্জাক জানালেন, দেখি না, পানি আর কত দূর গড়াতে পারে। পানি আরও কিছু দূর গড়াক, এরপর আমি সব বিষয়ে মুখ খুলব। এভাবেই নিজের অভিমান ও ক্ষোভের কথা প্রকাশ করলেন দেশের সিনেমার নায়ক রাজখ্যাত অভিনেতা রাজ্জাক।

চলচ্চিত্রপাড়া সম্প্রতি যেসব ঘটনা নিয়ে তোলপাড়, এসব নিয়ে কথা বলতে নাকি দেশের সিনেমার গুণী এই অভিনেতার লজ্জা লাগে। আমাদের সিনেমায় এসব কেন? যেসব বিষয় নিয়ে আজ কথা হচ্ছে, এগুলো খুবই মামুলি ঘটনা হিসেবে দেখছেন তিনি। তাঁর মতে, অকারণে এসব ঘটনাকে বড় ইস্যু করে হাসির পাত্র হচ্ছেন সবাই।

রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা সারা জীবন কত বড় বড় সমস্যা মিটিয়েছি। আমরা এরশাদ সাহেব, জিয়াউর রহমানের আমলে রাস্তায় নেমেছি, কিন্তু কখনোই মামলা-মোকদ্দমা ও আইন আদালত করিনি। প্রয়োজনে সরাসরি সরকারপ্রধানের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়েছি। ক্যাপাসিটি ট্যাক্স থেকে শুরু করে কত কিছু আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে বাতিল করেছি। নিজেদের অধিকার সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন দেখছি, বড় সমস্যা নিয়ে কথা না বলে এফডিসির ভেতরের মানুষগুলো নিজেরাই নিজেদের পেছনে লেগে আছেন!’

এফডিসির অনেকগুলো সংগঠন আছে। এসব সংগঠন চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য আদৌ কাজ করে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছেন গুণী এই নির্মাতা। তিনি বলেন, ‘এফডিসির সিনেমার যে সংগঠনগুলো আছে, তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করত, তাহলে চলচ্চিত্রের এই দুরবস্থা থাকত না। সমিতির সবাই এফডিসিতে আসছেন, আড্ডা দিচ্ছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।’

গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার কারণে গত এক মাসের মধ্যে পরিচালক সমিতি দুজন নায়ক ও একজন পরিচালককে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেন। একজন নায়িকাও আইনি নোটিশ পেয়েছেন। এর মধ্যে আছেন দেশের এই সময়ের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান, নায়িকা মাহিয়া মাহি, পরিচালক শামীম আহমেদ এবং নায়ক ও পরিচালক বাপ্পারাজ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্জাক বলেন, ‘আমি তো এখন এফডিসিতে সেভাবে যাই না। আমি যদি একবার এফডিসিতে যাই, তাহলে তাঁদের জিজ্ঞেস করব, তোমাদের কে অধিকার দিয়েছে, কথায় কথায় চিঠি দেওয়ার, পরিচালক নিষিদ্ধ করার, শিল্পী নিষিদ্ধ করার!

এখন আমি এসব নিয়ে কিছু বলতে গেলেও বিরাট বিতর্ক তৈরি হয়ে যাবে। আমি যদি এসবের মধ্যে নেমে যাই, সিনেমার বড় একটা ক্ষতিও হয়ে যাবে। তবে এটুকু বলব, এই যে নিষেধাজ্ঞা ও চিঠি চালাচালির সংস্কৃতি চালু হয়েছে, এটা কোনো অবস্থায় ঠিক হচ্ছে না। কারও বক্তব্য কারও বিরুদ্ধে গেলে বা কারও সমালোচনা করার মধ্যে অন্যায়ের কিছু দেখছি না। এ কেমন সংস্কৃতি সিনেমার মানুষের মধ্যে চালু হলো বুঝতে পারছি না!’

চলচ্চিত্রের এখনকার অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে সমসাময়িক বন্ধুদের নিয়ে এফডিসি যেতে বাধ্য হবেন বলে জানান রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘এরপর আমি সবাইকে নিয়ে সিনেমার সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলব।’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে